মামুনুর রশীদ মামুন, কুড়িগ্রাম- কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে স্কুলে ক্লাস নেওয়াকে কেন্দ্র করে সহকর্মী শিক্ষিকাকে জুতাপেটা করলে অপর এক শিক্ষিকা। এ ঘটনায় ওই স্কুলসহ ওই এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে । এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বড়লই মধ্যপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ভুক্তভোগী আহত ওই শিক্ষিক্ষা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে সুষ্টু তদন্ত চেয়ে লিখিত আবেদন করেছেন।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, বড়লই মধ্যপাড়া সরকারী প্রাথিমিক বিদ্যালয়ে ৫ জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছে। তার মধ্যে প্রধান শিক্ষক বাদে ৪ জন নারী সহকারী শিক্ষক। বিদ্যালয়ের রুটিন অনুযায়ী ক্লাস নিয়মিত চলে আসছিল। বুধবার স্কুল চলাকালীন সময়ে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মাছুমা খাতুনের সাথে অপর শিক্ষিকা মিলা খাতুনের বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায় দুইজনের মধ্যে চুলটানা হেচড়া ও মারপিটের ঘটনা ঘটে। অফিস কক্ষে আবারো ক্ষিপ্ত হয়ে সহকারী শিক্ষকা মিলি খাতুন জুতা দিয়ে সহকর্মী শিক্ষিকামাছুমা খাতুনকে মারপিট করে। পরে এলাকার লোকজন ছুঁটে এসে তাদের জগড়া বিবাদ থামায়।
মিলি খাতুনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার স্বামী মুকুল মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান নিজেরদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়েছে । আমরা অভিভাবকদের সাথে বসে মীমাংসা করার চেষ্টা করছি।
বড়লই মধ্যপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামজ্জামান বকুল বলেন ভুলবুঝা বুঝির কারনে অনাকাঙ্খিত ঘটনাটি ঘটে । বিষয়টি মীমাংসার প্রক্রিয়া চলছে।
উপজেলা ( ভারপ্রাপ্ত) শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান জানান সহকারী শিক্ষকা মাছুমা খাতুন লিখিত আবেদন করেছেন । এ বিষয়ে তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রির্পোট পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।