খুলনার খালিশপুর থানা এলাকায় বুধবার রাতে একজনকে গুলি করে হত্যার পরদিনই দৌলতপুর থানা এলাকায় দিনে দুপুরে ধারালো অস্ত্রের কোপে জখম হওয়া কলেজ ছাত্র সৈয়দ তাহমিদুন্নবী (২২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
গতকাল বৃহস্পতিবারের দিবাগত রাত ১২ টার দিকে খুমেক হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এর আগে তাকে উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তাহমিদুন্নবী নগরীর রায়েরমহল কলেজের শিক্ষার্থী। তিনি দৌলতপুর থানাধীন নতুন রাস্তা সাহাপাড়া মোড়া এলাকার সৈয়দ তৌহিদুন্নবীর ছেলে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করে দৌলতপুর থানা পুলিশ।
আহতের পরিবার ও প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে নতুন রাস্তা সাহাপাড়া মোড়া এলাকার কাঠ মিস্ত্রি পলাশ তাকে বাসা থেকে ডেকে নেয়। এরপর সেখানে পুর্ব থেকে উপস্থিত থাকা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী কলেজ ছাত্র সৈয়দ তাহমিদুন্নবীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলাপাতাড়ী কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা করে। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাত ১২টায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে পরিবার সূত্র জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত একজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।