দিন-দুপুরে দলবল নিয়ে জোরপূর্বক জমি দখল ও সফিকুল ইসলামের পরিবারের লোকজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে আব্দুল মতিন গ্যাং ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। আহতদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান আত্মীয় ও স্থানীয়রা।
সোমবার ( ২১ নভেম্বর) ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের কিসামত (শুখানপুখুরী) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী সফিকুল ইসলাম এ ঘটনায় পরের দিন মঙ্গলবার সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আব্দুল মতিনের পরিবারের লোকজন দীর্ঘদিন যাবত সফিকুল ইসলামের সাথে কারণে-অকারনে ঝগড়া করে আসছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত সোমাবার ( ২১ নভেম্বর) বিকেলে রাসায়নিক সার ক্রয়ের জন্য স্থানীয় বাজারের উদ্দেশ্য রওনা হলে এই সুযোগে মতিন গ্যাং আমার জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে মহেন্দ্র হালচাষ করেন। এসময় সফিকুল ইসলামের মা ও তার স্ত্রী বাঁধা দিতে গেলে আসামীরা তাদেরকে লাঠি শোঠা দিয়ে মারধর করে। সফিকুল ইসলাম তার মা ও স্ত্রীকে উদ্ধার করে বাড়িয়ে আসার চেষ্টা করলে মতিন গ্যাং দেশীয় ছোড়া, রামদা, লাঠি নিয়ে মারপিট করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এবং রানু বেগম (৪০) সফিকুলের বৃদ্ধা মাকে মাটিতে ফেলে গলা চেপে ধরেন। তার মাকে বাঁচাতে গেলে তার স্ত্রীকেও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে জোরে কোপ মারলে তার মাথা অনেক টা কেটে কেটে যায়। পরে স্থানীয় ও আত্মীয়রা উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান।
ভুক্তোভোগী সফিকুল ইসলাম জানান, মতিন গ্যাং পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী লাঠিশোঠা, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার তফশীলকৃত আবাদি জমিতে মহেন্দ দিয়ে হালচাষ করতে গেলে আমার মা ও স্ত্রী বাঁধা দিলে তারা মিলে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে তাদের মারধর করেন। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গেলে আমাকে তারা এলোপাথালী মারধর করতে থাকে। এসময় আসামীরা আমার মা কে লোহার রড দিয়ে হাতে-পায়ে আঘাত করলে আমার মায়ের হাতে কনুই ভেঙ্গে যায় আর আমার স্ত্রীর মাথা অনেক কেটে যায়। আমার পকেটে সার ক্রয়ের ৫৩ হাজার টাকাও তারা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আমাদের ডাক শুনে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে আসলে তাদের পরামর্শে ৯৯৯ লাইনে ফোন করে পুলিশকে খরব দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে আসামীরা পালিয়ে যায়। আমি বাদী হয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি মামলা করেছি। মামলা করার পর থেকেই আসামীরা বিভিন্ন ভাবে আমাকে ও আমার পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে। আমি প্রশাসনের কাছে সুষ্টু বিচার চাই।
এদিকে অভিযুক্ত আব্দুল মতিন গ্যাং এর সাথে যোগাযোগ করলে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, এ বিষয়ে সফিকুল ইসলামেরপক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।