স্টাফ রিপোর্টার, বাঘারপাড়া(যশোর): যশোরের বাঘারপাড়ায় ধর্ষণের সময়ে এক যুবককে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা।
রবিবার ওই যুবককে আদালতে সোপর্দ করেছে বাঘারপাড়া থানা পুলিশ। আটক সাকিল হোসেন (২১) যশোর সদিরের বসুন্দিয়া ইউনিয়নের বসুন্দিয়া গ্রামের শাহ আলমের ছেলে। গতকাল শনিবার বিকালে বাঘারপাড়ার বাসুয়াড়ি ইউনিয়নের আলাদীপুর বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি পরিত্যক্ত কক্ষ থেকে ওই যুবককে আটক করা হয়। ভিকটিম (১৪) খুলনার আটরা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। ভিকটিমের পিতা জানান, অভিযুক্ত সাকিল হোসেন ৩ মাস আগে আমার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসে। তখন আমার মেয়ের মোবাইল নম্বর নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক করে। এক পর্যায়ে গতকাল শনিবারে আমার মেয়েকে খুলনা থেকে বাঘারপাড়ায় এনে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
পুলিশ জানায়, আসামী সাকিল হোসেন শিশু ভিকটিমকে জোরপূর্বক ধর্ষণের সময়ে চিৎকার করতে থাকে। ভিকটিমের চিৎকার শুনে স্থানীয় পথচারী রবিউল ইসলাম সহ বেশ কয়েকজন এগিয়ে আসে। এসময় তারা সাকিল হোসেনকে আটক করলেও তার কয়েকজন সহযোগী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ভিকটিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে থানায় সংবাদ দেয়া হলে পুলিশ আসামী সাকিল হোসেনকে আটক করে এবং ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠায়। বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দীন জানান, ধর্ষণের ঘটনায় সাকিল হোসেন নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। এবিষয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রজু করে আসামীকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।