জি. এম টিপু সুলতান, অফিসিয়াল রিপোর্টারঃ
যশোরের মণিরামপুরে পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুর হাফিজুর রহমানকে আটক করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় মণিরামপুর থানায় মামলা হয়েছে। আটক হাফিজুর রহমান একই উপজেলার নেহালপুর গ্রামের কালীবাড়ি মেঠোপাড়ার গোলাম আলীর ছেলে।
জানা যায়,কেশবপুরের মনোহরনগর গ্রামের মেয়ের বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মণিরামপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং : ১৪। তার মেয়েকে সাত মাস আগে আসামি হাফিজুর রহমানের ছেলে ট্রাকের হেলপার রায়হানের সাথে বিয়ে দেয়। পেশাগত কাজের জন্য রায়হান প্রায়ই বাড়ির বাইরে থাকে। সেই সুযোগে রায়হানের পিতা হাফিজুর রহমানের কুদৃষ্টি পড়ে পুত্রবধূর উপর। বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দেয়াসহ ঘরে একা পেয়ে পূত্রবধূকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে হাফিজুর।
সর্বশেষ গত ১৩ এপ্রিল ভোর ৪টার দিকে ঘুম থেকে উঠে সেহরি খাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ওই গৃহবধূ। এসময় হাফিজুর রহমান ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় চিৎকার করতে গেলে তার শশুর তাকে হুমকি সহ নানাভাবে ভয় দিয়ে বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য চাপ দেয়। পাশাপাশি বিষয়টি কাউকে জানানো হলেও তাকে খুন করার হুমকি দেয়া হয় বলে জানা যায়।
- মণিরামপুরে সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর বিক্রয়ের অভিযোগ
- মণিরামপুরে বখাটের শ্লীলতাহানীর জেরে গৃহবধূর আত্মহত্যা
খবর পেয়ে পরদিন রাত সাড়ে ৮ টার দিকে হাফিজুর রহমানের বাড়ি থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে মণিরামপুর থানায় মামলা করা হয়। পুলিশ শুক্রবার রাত ৯.০০ টার দিকে নেহালপুর কালীবাড়ি ইসলাম মোড় থেকে হাফিজুর রহমানকে আটক করে। এ ব্যাপারে নেহালপুর পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ আতিকুজ্জামান জানান আটকের পর ধর্ষক হাফিজুর রহমানকে শনিবার যশোর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।