নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় অসুস্থ ছোট বোনকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পথে র্দুবৃত্তের হামলায় সাদিকুল ইসলাম রিয়ন (১৭) নামে এক কলেজছাত্র খুন হয়েছে। শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে তার মৃত্যুহয়েছে। এ আগে বিকালে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় রিয়নের পিতা জহিরুল ইসলাম কচি (৩৮), মা জোসনা বেগম (৩২), ছয়মাস বয়সের ছোট বোন নুসরাত ও চাচা শাহিদুল ইসলাম (৩২) আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে ডা. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে র্ভতি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

সাদিকুল ইসলাম রিয়ন উপজেলার উত্তর ব্রাহ্মণখালী এলাকার জহিরুল ইসলাম কচির ছেলে। সে কাঞ্চন সলিমউদ্দিন চৌধুরী কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল। পুলিশ জানায়, শনিবার বিকালে সাদিকুল ইসলাম রিয়নের অসুস্থ ছোট বোন নুসরাতকে নিয়ে তার পিতা জহিরুল ইসলাম কচি, মাতা জোসনা বেগম, চাচা শাহিদুল ইসলাম ভুলতা হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। পথে র্পূব শত্রুতা ও জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে ওত পেতে থাকা র্দুবৃত্তরা তাদের ওপর রামদা, চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, ছুরি, লোহার রড, এসএস পাইপসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওপর হামলা চালায়। র্দুবৃত্তরা তাদের এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তাদের সঙ্গে থাকা নগদ টাকা ও র্স্বণালংকার ছিনিয়ে নেয়। এক র্পযায়ে তাদের ডাক চি কারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে ঢাকার মগবাজারের একটি হাসপাতালে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে র্ভতি করা হয়। এ ব্যাপারে নিহত সাদিকুল ইসলাম রিয়নের চাচা সানোয়ার ইসলাম বাদী হয়ে ৯জনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

রূপগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ছালাউদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, র্দুবৃত্তরা যে দলেরই হোক তাদেরকে আইনের আওতায় আনা উচিত। রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ ওসি মহসিনুল কাদের গণমাধ্যমকে বলেন, এ ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর
রয়েছে।