আজ ১৬ জুন, নারায়ণগঞ্জ বোমা হামলা ট্রাজেডি দিবস। ২০০১ সালের এদিনে নগরীর চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগ অফিসে নৃশংস বোমা হামলায় ২০ জন নিহত হয়। আহত হন সংসদ সদস্য শামীম ওসমানসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী।
তবে ঘটনার ২১ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো এ হামলার বিচার হয়নি। এতে হতাশ ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
২০০১ সালের ১৬ই জুন নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগ অফিসে চালানো হয় নৃশংস বোমা হামলা। এতে নিহত হন ২০ জন। আহত হন তৎকালীন সংসদ সদস্য শামীম ওসমানসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী।
আহত অনেকেই এখনও পঙ্গু। হামলার পরদিনই জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে আলাদা দু’টি মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০০৩ সালে বিস্ফোরক মামলায় ও ২০১৪ সালে হত্যা মামলায় ৫ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় তদন্তকারী সংস্থা। এ মামলায় কারাগারে রয়েছে আদালতে একমাত্র স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেওয়া শাহাদাতউল্লাহ জুয়েল।
পলাতক রয়েছে তার সহোদর আনিসুল মোরছালিন ও মাহাবুবুল মুত্তাকিম। জামিনে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু।
দীর্ঘ ২১ বছরেও এই মামলার বিচার শেষ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যারা। মামলা দু’টি বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে বিচারাধীন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, করোনার কারণে বিলম্বিত হলেও দ্রুত বিচার কাজ সম্পন্ন হবে। চাঞ্চল্যকর এই মামলা দু’টি নিষ্পত্তি করে দোষীদের শাস্তি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়ার দাবি নারায়ণগঞ্জবাসীর।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।