বাংলাদেশে গত ৮ মাসে ৩৬৪ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। এর মধ্যে স্কুলশিক্ষার্থীই ১৯৪ জন। শুক্রবার এ উদ্বেগজনক জরিপ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে ‘আঁচল’ নামে একটি বেসরকারি সংগঠন। আন্তর্জাতিক আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস আজ।
কেবল শিক্ষার্থীই নয়, আশাভঙ্গ-হতাশাসহ নানা অসঙ্গতির কারণে সমাজের বিভিন্ন স্তরে আত্মহত্যার মতো ঘৃণ্য ব্যধিটি এখনো বিদ্যমান। পারিবারিক নির্যাতন, কলহ, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, পরীক্ষা ও প্রেমে ব্যর্থতা, দারিদ্র্য, বেকারত্ব, প্রাত্যহিক জীবনের অস্থিরতা, নৈতিক অবক্ষয় এবং মাদক ইত্যাদি কারণে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন। এর থেকে উত্তরণে সবাইকেই সতর্ক হতে হবে।
আরোও পড়ুন: ফিল্টার করা নাকি ফুটানো পানি পান করা উচিত?
১২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে টাইগারদের অনুশীলন
পিএসজিকে এখন নিজের ঘর মনে করছেন মেসি: নেইমার
আত্মহত্যা প্রতিরোধে ২০০৩ সাল থেকে প্রতিবছর ১০ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক আত্মহত্যা প্রতিরোধ সংস্থা দিবসটি পালন করে আসছে। ‘কাজের মাঝে জাগাই আশা’ এই প্রতিপাদ্যে এবারও দিবসটি পালিতহচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আত্মহত্যা প্রবণতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে দশম। বাংলাদেশে প্রতি বছর দেশে কমপক্ষে ১৩ হাজার থেকে ৬৪ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৪ সালে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতি বছর বিশ্বে ৮ লাখেরও বেশি মানুষ আত্মহত্যা করে। সংস্থাটির মতে, প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন মানুষ আত্মহত্যা করে। এর প্রায় ১৫ থেকে ২০ গুণ মানুষ আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।