ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে আলাদীপুর-বেতদিঘী ইউনিয়নে অজ্ঞাত রোগে প্রায় ৩০ টি গরুর মৃত্যুর প্রতিবাদে খামারিদের মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বেলা বারোটায় বাসুদেবপুর গ্রামের ফুলবাড়ী মাদিলাহাট রাস্তার মাঝে বাসুদেবপুর গ্রামে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, প্রায় মাস হতে চলল এতগুলো গরুর মৃত্যুরহস্য উদঘাটন হচ্ছেনা ।
এদিকে আক্রান্ত গরুর মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়ায় গ্রামের গৃহস্থ কৃষকরা ক্ষতি করে গরু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। গ্রামে প্রায় ৩০ টি গরু বিক্রি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
মহেশপুরের সুলতান হোসেন বলেন, সাতটি গরুর তিনটি আক্রান্ত হলে চারটি বিক্রি করে দিয়ে এখন তার গোয়াল ঘর শূন্য। ওই গ্রামের মুক্তার হুজুরের চারটি মোশাররফ একটি এবং দুটি বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হলে সে দুটো বিক্রি করে।
বাসুদেবপুরের আজাদ হোসেন, জহুরুল হোসেন, মাহমুদা বেগম বলেন, আমাদের যে খড়-ধান গুলো রয়েছে সেগুলো আমরা খাওয়াতে পারব না, বিক্রি করতে পারবোনা, সেগুলো আমাদের কি হবে?
বাদশা হোসেন বলেন আমার চারটি গরু মারা গিয়েছে, একটি বিক্রি করেছি, আমার এখন গোয়াল ঘর শূন্য, এর দায়ভার কে নেবে? আমরা এখন চরম অসহায় হয়ে পড়েছি।
বাসুদেবপুর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত মেম্বার মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, যেভাবে গরুর মৃত্যুর খবর শুনতে পাচ্ছি, তাতে করে আমরা অত্যন্ত আতঙ্কগ্রস্থ।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসার আহসান হাবিব বলেন, রোগটি এখনও সনাক্ত করা যায়নি। তবে শুনেছি, কিছুদিন আগে ওই গ্রামে একটি অস্থায়ী ব্যাটারি কারখানা গড়ে উঠেছিল। সম্ভবত সীসার বিষক্রিয়া ছড়িয়ে পড়তে পারে। ঢাকা থেকে গত বৃহস্পতিবার (৯ডিসেম্বর) ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি মেডিকেল টিম এসেছে। তারা কাজ করছে, প্রতিবেদন সম্পন্ন হলেই রোগের প্রকৃত কারণ স্পষ্ট হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, বিষয়টি নিয়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। গরুর মৃত্যুতে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে আপ্রাণ চেষ্টা করবো। আমি ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করছি। তাদের আন্দোলন করতে হবেনা। যথাসাধ্য চেষ্টা করবো খামারিদের এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।