শীত যাবে যাবে করেও যাচ্ছে না। দিনে গরম তো রাতে ঠাণ্ডা। তাপমাত্রার এই অদ্ভুত আচরণে বাচ্চাদের কিন্তু সর্দি-কাশির পরিমাণ বেড়ে যায় বেশ। শিশুদের এই কাশির জন্য অনেকেই কাছের দোকান থেকে বাচ্চার জন্য কিনে থাকেন কাশির ওষুধ।
এই কাশির ওষুধের অনেকগুলো কিন্তু বাচ্চাদের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই বাচ্চাদের কাশির ওষুধ দেওয়ার আগে অবশ্যই সাবধান হতে হবে।
গবেষণায় দেখা গেছে, সাধারণ বাজারে চলতি কফ সিরাপগুলো শিশুদের শরীরে খিঁচুনি, ঝিমুনি, অস্বাভাবিক হৃৎস্পন্দন, কিডনি ও লিভারের ক্ষতিসহ নানা সমস্যা তৈরি করে।
শিশুদের জন্য বহুল ব্যবহৃত সালবিউটামল সিরাপ একটু বেশি মাত্রায় দিলেই অস্বাভাবিক হৃৎস্পন্দন ও শরীরে কাঁপুনি হতে পারে। আবার অনেক কাশির সিরাপে হাইড্রোকার্বন থাকে। মূলত বুক ব্যথা ও কাশি দমনে এটা ব্যবহৃত হয়। কিন্তু হাইড্রোকার্বন এক ধরনের নারকোটিক, যা শিশুদের জন্য ক্ষতিকর।
বড়দের কফ সিরাপের অনেক উপাদান যেমন—গুয়াফেনেসিন, সিউডোএফিড্রিন, ট্রাইপোলিডিন, ডেক্সট্রো মেথরপেন প্রভৃতি কমবেশি থাকে শিশুদের অনেক সিরাপে। এসব উপাদান শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। অনেকে আবার বাড়িতে থাকা বড়দের কফ সিরাপ একটু কম পরিমাণে বা কম মাত্রায় শিশুদের খাইয়ে দেন, যা কিনা মোটেও ঠিক নয়।
আমাদের দেশে ওষুধের দোকানে কফ সিরাপ দেদার বিক্রি হয়। আমরাও না বুঝে সেসব কিনে ফেলি। শিশুদের জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে চিকিৎসকের সুস্পষ্ট ব্যবস্থাপত্র ছাড়া বাচ্চাকে কখনো কফ সিরাপ খাওয়ানো উচিত নয়।
পরামর্শ দিয়েছেন
ডা. আবু সাঈদ শিমুল
শিশু বিশেষজ্ঞ ও কনসালট্যান্ট
মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।