জন্ম ১৯৫১সালের ৬ ফেব্রুয়ারী। কৃষক শরৎচন্দ্র মজুমদার ও সুমতী মজুমদারের জেষ্ট পুত্র। নীতিতে অটল,অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা ছিলো যার স্বভাব।সকলের প্রিয শিক্ষক গত বছর ২০২০এর ২৫জুলাই স্টোক জনিত কারনে মৃত্যু বরন করেন।
গরীর ঘরে জন্ম হলেও লেখা পড়ায় মনোযোগী হওয়ার জন্য কৃষক বাবার কিছুটা আপত্তি থাকার পরেও খেখাপড়া করেন।স্কুল জীবনে তার চাচা ত্রৈলক্ষ্য মজুমদারের(ইউনিয়ন প্রেসিডেন্ট) অনুপ্রেরনাময় চরবানিয়ারী মাধ্যমিক থেকে এস, এসসি পাশ করেন।
সরকারী পিসি কলেজে বাড়ি থেকে প্রতিনিয়ত ১৮ কি.মি পথ হেটে যেতেন বন্ধুদের সাথে।তখন যোগাযোগ ব্যবস্থা নৌকা ছিলো সম্বল।বি,কম পাশ করে আসেন মহান শিক্ষকতা পেশায়।
অনেক জক্কি ঝামেলার পর সন্তোষপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চাকরিতে যোগদান করেন।শুরু হয় লড়াই।স্কুলের অবগত কাটামো ভালো ছিলো না।হাত পেতে দুয়ারে দুযারে এলাকাবাসীদের সাথে গিয়েছেন। একটু একটু করে দাড় করায় স্বপ্নেন স্কুল।
এই স্কুল প্রতিষ্ঠিত করতে কযেকজনের সাথে মামলা হয হরেন বাবুর নামে।পুলিশ ধরে কচুয়া থানায় নিতে চাইলে তার চাচা ছাড়িয়ে রাখে।স্কুল করা নিয়ে তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান বাবু কালিদাস বড়ালের সাথেও মনোমালিন্য হলেও স্কুলের অনুদান উপজেলা পরিষদ থেকে পাশ করান।
গ্রামের মন্দির প্রতিষ্ঠায় তার অগ্রনী ভূমিকা ছিলো। গ্রাম্য সামাজিকতায় ছিলেন সামনের সারির। ৩৫০টাকা বেতনে চাকরি শুরু কর অবসর যান ২০১১সালে।
২০১০ সালে হঠাৎ স্টোক করেন।খুলনা মেডিকেলে ২৩ তিন চিকিৎসা হয়ে সুস্থ হলেও পরবর্তীতে আবারো স্টোক করে একই মেডিকেলে ২৭ দিনের পর সুস্থ হন।সর্বশেষ২০২০ সালে শেষবার স্টোক করে ২৫এপ্রিল ১ম রোজার দিন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।শেষ হয়ে যায় দীর্ঘ পথ চলা।তিথি অনুযায়ী অক্ষয তৃতীযায় তার মৃত্যু এক বছর পালন করে তার পরিবার।
মৃত্যুকালে ২পুত্র ও এক কন্যা সহ অসংখ্য আত্মী স্বজন,শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন। গতকাল ছিলো তার ১ম মৃত্যু বাষিকী। তাহার আত্মার শান্তির জন্য সকলের কাছে আর্শীবাদ ও দোয়া চেয়েছেন তার পুত্র ও কন্যা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।