শুভ নববর্ষ। বুধবার ২০২৫ সালের প্রথম দিন। আমাদের জীবনে এলো আরেকটি নতুন বছর। এলো নতুন সূর্য—এতে আছে অন্ধকার কেটে আলোর পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়। নববর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টির পক্ষ থেকে সকল স্তরের নেতাকর্মী,শুভানুধ্যায়ীসহ দেশবাসী ও প্রবাসী সব স্তরের মানুষকে শুভেচ্ছা জানাই।
এ কথা মিথ্যা নয় যে, ১ জানুয়ারি এলেই বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানানোর ধুম পড়ে যায়। কিন্তু মনে রাখা দরকার, ইংরেজি অব্দ বলে কোনো অব্দ নেই। আছে খ্রিষ্টীয় অব্দ, হিজরি অব্দ, বঙ্গাব্দ ইত্যাদি। খ্রিষ্টীয় অব্দকেই আমরা ইংরেজি অব্দ বানিয়ে ফেলেছি। এটি অপপ্রয়োগ। আমরা ইংরেজি নববর্ষ নয়, খ্রিষ্টীয় নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাব। একটু সতর্ক হলেই এই ভুলটা এড়ানো যায়। একইভাবে ইংরেজি তারিখ কিংবা ইংরেজি মাস কথাটাও অপপ্রয়োগ।
ঐতিহাসিক কারণে আমরা খ্রিষ্টীয় শতাব্দীতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের অনেক ঐতিহাসিক সত্যের মধ্যে এটিও একটি যে, আমরা এ এলাকার অধিবাসীরা বঙ্গীয় বর্ষ মেনে চলি দেশপ্রেমজাত সাংস্কৃতিক কারণে। কিন্তু নিত্য জীবন যাপনের বেলায় খ্রিষ্টীয় বর্ষ মেনে চলি। এরই ধারায় মহাকালের গহ্বরে হারিয়ে গেল আরও একটি বছর।
নতুন খ্রিষ্টীয় বছরের আগমন উপলক্ষে দেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিব। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
জাগ্রত পার্টির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ইকরামুল হক খান, তার বাণীতে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ‘উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আনন্দের সমাহার নিয়ে আমাদের জীবনে নববর্ষের আগমন ঘটে। তাই বিগত দিনের ভুলভ্রান্তি, ব্যর্থতা ও হতাশাকে দূরে ঠেলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। নতুন ও ইতিবাচক পরিবর্তনকে গ্রহণ করতে প্রস্তুত থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, দেশে একটি রাজনৈতিক সরকারের গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। দেশের আর্থিক সংকটের ফলে বাংলাদেশেও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব পড়েছে। আমাদের আশপাশের অনেক মানুষই কষ্টে দিনাতিপাত করছে। নববর্ষে আমরা একে অন্যের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিই—এই হোক ইংরেজি ‘নববর্ষ-২০২৫’-এর প্রত্যাশা।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের
নতুন বছরে দেশ ও জাতির স্বার্থে কঠোর ভাবে কাজ করা।
জাগ্রত পার্টির মহাসচিব আবুল কালাম আজাদ, তার বাণীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, ‘আজ আমরা যে সময়কে পেছনে ফেলে নতুন দিনের আলোয় উদ্ভাসিত হতে যাচ্ছি, সে সময়ের যাবতীয় অর্জন আমাদের সম্মুখযাত্রার শক্তিশালী সোপান হিসেবে কাজ করছে। তাই নতুন বছরের এই মাহেন্দ্রক্ষণ সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নতুন নতুন সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে উন্নতির নতুন শিখরে আরোহণের সোপান রচনা করার অনুপ্রেরণা।’
সেই সঙ্গে দেশের সকল সংকট প্রতিহত করে মানুষের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা করি এবং সর্বোপরি গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে, অসাম্প্রদায়িক ‘নতুন বাংলাদেশ’ বিনির্মানে দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন।
শুভেচ্ছান্তে:
কাজী শামসুল ইসলাম
দফতর সম্পাদক ও প্রেস এন্ড মিডিয়া উইংস
বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টি
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।