মোছাঃ মিম পারভিন স্টাফ রিপোর্টার: যশোর মণিরামপুর উপজেলার ৮ নং হরিহর নগর ইউনিয়নের মধুপুর ভুমিহীন পরিবারের মাঝে আশ্রয় প্রকল্পের ঘর বন্টনে সীমাহীন অনিয়মের অভিযোগ উঠলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে একাধিক নিউজ হলেও মেলেনি এখনো কোনো সমাধান।

একাধিক ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন মোঃ ইজাজুল হক  (মধু) নিজের মুখে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে তার নামে ৮ টি ঘর বরাদ্দের সততা শিকার করেন। তিনি মুঠোফোনে আলাপ কালে আরো শিকার করেন তিনি ১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে এই ঘর বিক্রি করেছে নায়েব ও ইজাজুল হক (মধু) যার কল রেকর্ড এখন সোস্যাল মিডিয়াই ভাইরাল হয়।

উল্লেখ্য খাস জমির উপর নির্মাত ২২ টি ভুমিহীন পরিবারের মাঝে ঘর বন্টনের কথা থাকলেও ১৪ টি ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন ইজাজুল হক ( মধু) ৮ টি ও আলতাফ হোসেন ৬ টি।সরেজমিনে যেয়ে দেখা যাই ইজাজুল হক (মধু) তার পরিবারের নামে ৮ টি ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন মেয়েদের নামেও ঘর বরাদ্দ হয়েছে মেয়েরা সব ধনী পরিবারের গৃহবধূ ও আলতাফ হোসেনের দুই বৌও দুইটি ঘর ও বসুন দিয়া থেকে নিজের সালির নামে একটি ও ছেলেদের নামে দুইটি ও মেয়ের নামে ১ টি ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন এলাকা বাসি গণমাধ্যম কর্মীদের জানায় আলতাফ হোসেন চাইলে যে কোনো মুহুর্তে ২/৫ বিঘা জমি কিনতে পারে।নিজেও একটি এপাসি মোটরসাইকেল ব্যাবহার করেন।

আলতাফ হোসেনের মেয়ে বিবাহ হয়েছে দ্বিতলা বিশিষ্ট বাড়ির গৃহবধূ। সরেজমিনে দেখা গেছে বরাদ্দকৃত ঘরে তাদের কেও বসবাস করতে আসেননি। ফলে এখনও খালি ঘর পড়ে থাকলেও ব্যবস্হা হয়নি মধুপুর গ্রামের অনেক ভুমিহীন পরিবারের সদস্যদের।গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতি দেখে ভুমিহীন পরিবারের গরিব ভ্যানচালক সহ প্রায় ১৫ টি পরিবার ছুটে আসেন তাদের বক্তব্য তারা আবেদন করলেও মেলেনি ঘর।তারা আরো অভিযোগ তোলেন ভুমি নায়েব টাকার বিনিময়ে ঘর দিয়েছেন একজনের নামে একাধিক ঘর।

তারা এক পর্যায়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সামানে কেঁদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুতি মিনতি করে একটি করে ঘর বরাদ্দ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।তারা অভিযোগ তোলেন মধুপুর গ্রামের আশ্রয় প্রকল্প ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন ইজাজুল হক (মধু) যার একটি ছাদের বাড়ি আছে,ও আলতাফ হোসেন যার ছেলেরা চাকুরী করেন মেয়েরা ধনী পরিবারের গৃহবধূ সালির বাসা বসুন দিয়া
অথচ আমরা গ্রাম বাসি হয়েও ঘর পেলাম না।

মধু ঘর নিয়ে প্রতিটি ঘর বিক্রি করছে আমাদের মতো কোনো পরিবারের কাছে।এ বিষয়ে কথা হয় স্হানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জহুরুল ইসলামের সাতে তিনি বলেন আলতাফ এবং মধু ভুমিহীন এবং তারা মূলত আশ্রয় প্রকল্প ঘর নির্মাণের আগে থেকে ঐই স্থানে বসবাস করতেন। সেই সুবাদে তারা হয়তো ঘর পেয়েছেন।

তবে কতো সংখ্যক ঘর পেয়েছে এবং ঘর বিক্রি করছে আমি এ বিষায়ে জানি না। ইজাজুল হক মধু ও আলতাফ হোসেন গণমাধ্যম কর্মী কে ম্যানেজ করতে বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করছে।এলাকার ভুমিহীন পরিবারের দাবি এই ঘর বন্টনে অনিয়ম দূর্নীতি করা হয়েছে মোটা টাকার বিনিময়ে আলতাফ হোসেন ও মধু ১৪ টি ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন।

এ বিষায়ে উপজেলা চেয়ারম্যান জনাবা নাজমা খানম মুঠো ফোনে গণমাধ্যম কর্মীদের জানায় আমি বিষায়টা কিছু দিন যাবত বিভিন্ন পত্রিকায় দেখছি একজনের নামে একাধিক ঘর বরাদ্দ হয়েছে এটা অনিয়ম হয়েছে।উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ জাকির হাসান বলেন বিষায়টা আমরা তদন্ত করছি