রাজশাহী কোর্ট স্টেশন এলাকার বালাজান নেসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অনুদানে পাওয়া ৬ শতক জমির হদিস নাই। কোথায় আছে জানেন না প্রধান শিক্ষক বা কমিটি সভাপতি কেউ-ই।
স্কুলের আশ-পাশের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক জমির মালিকের অভিযোগ স্কুলের আশপাশে জমি মাপতে গেলেই স্কুল কর্তৃপক্ষ সেখানে বাগড়া পাকায় ( বাধা দেয়)। তারা প্রশাসন দিয়েও হয়রানি করছে প্রতিনিয়ত।
জানা যায়, স্কুলের মোট জমির পরিমান ১.৬৩ একর। এরমধ্যে বালাজান নেসা পরিবারের কিনে দেয়া ২৬.৭৫ শতক জায়গা রয়েছে। যা দিয়ে স্কুল শুরু হয়েছিলো ১৯৮৭ সালে। এরপর রয়েছে অনুদানের ৬ শতক জায়গা। যা স্কুল এলাকার কচি ও কমলের বাবা মরহুম আব্দুস সামাদের দান করা। দাগ নং ২২৭১। স্কুলের সম্পত্তির বাঁকি অংশ জেলা প্রশাসকের দেয়া অর্পিত সম্পত্তি ১৩০ শতক। (খতিয়ান খ শ্রেনীর, ২২৭৩- ৯০ শতক, ২২৭০ – ১৭.৮৪ শতক এবং ২২৭১- ২০.৯৪ শতক)।
কর্তৃপক্ষের মতে স্কুলের সকল কার্যক্রম ঠিক থাকলেও নেই বাউন্ডারি দেয়াল। এটি নিয়ে এলাকাবাসি ও অভিভাবকদের রয়েছে অভিযোগ, কারণ এটি একটি বালিকা বিদ্যালয়। বাউন্ডারির বিষয়টি জিগ্যাসা করলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাজরুল ইসলাম বলেন, স্কুলের মোট জমি আমাদের দখলে নেই,তাই সীমানা প্রাচীর দিতে সমস্যা। তিনি বলেন, আঃ সামাদের দান করা ৬ শতক জায়গা ২২৭১ নম্বর দাগে আছে, কিন্তু সেটি এই দাগের কোনদিকে তা উল্লেখ নেই, বিধায় আমরা এটা সনাক্ত করতে পারছি না। তবে সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার সাথে আমার কথা হয়েছে, তিনি রাজশাহীতে ফিরে সীমানা প্রাচীরের ব্যবস্থা করে দিতে চেয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে বালাজান নেসা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আব্দুল বাতেন বাবু বলেন, প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে পারেন। কারো জায়গা জমিতে বাঁধা প্রদান করাও হয়নি। বরং স্কুলের জায়গা দখলের পায়তারা করছে একটি মহল। এ উদ্দেশ্যে স্কুলের সামনে রাতের আধারে কে বা কাহারা বালু ফেলেছে।
উল্লেখ্য ১৯৮৭ সালে স্থাপিত এই বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেনী থেকে ১০ ম শ্রেনী পর্যন্ত বর্তমানে ছাত্রী সংখ্যা ৭৭০ জন। শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারি-সহ মোট ২৫ জন কর্মরত রয়েছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।