মানুষের মস্তিষ্কে প্রায় ১০ হাজার কোটি (১০০ বিলিয়ন) নিউরোন (স্নায়ু কোষ) আছে। মানুষ মস্তিস্কের কোষ অর্থাৎ নিউরোনেগুলো যত বেশি ব্যবহার করবেন, ততই মানুষের সৃজনশীলতা, দক্ষতা ও সাফল্য বাড়বে।

যদিও অধিকাংশ মানুষ ভ্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিচালিত হয়ে হতাশা, আলস্য ও বিভিন্ন নিজ সৃষ্ট (Self-Created) অজুহাতের কারণে তার নিজের মস্তিস্কের নিউরোনের অল্প সংখ্যক কাজে লাগায়, ফলে জীবনে কাঙ্ক্ষিত সফলতা পায় না।

মানুষের সাফল্যের পেছনে নেপথ্যে থেকে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করে সঠিক (ইতিবাচক/পজিটিভ) দৃষ্টিভঙ্গি। মস্তিষ্কের এই অফুরন্ত ক্ষমতা ও শক্তি কতটা ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারবেন তা আপনার দৃষ্টিভঙ্গির ওপর সরাসরি নির্ভরশীল।

সঠিক (ইতিবাচক/পজিটিভ) দৃষ্টিভঙ্গি কি? ‘আপনার কি নাই বা কি আপনি পারেন না বা কি আপনি হারিয়েছেন — তা নিয়ে হতাশায় ও আত্মবিশ্বাসহীনতায় না ভুগে যা আপনি পারেন তা দিয়ে শুরু করাটাই’ হচ্ছে — সঠিক (ইতিবাচক/পজিটিভ) দৃষ্টিভঙ্গি। আসলে ভুল দৃষ্টিভঙ্গি সমস্যাকে ‘সংকটে’ পরিণত করে; আর ইতিবাচক/পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গি সমস্যাকে পরিণত করে ‘সম্ভাবনায়’।

একজন খ্যাতিমান ব্যক্তির উক্তি, ‘জীবনের ৫০% ঠিক হয় দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা, এবং বাকিটাও দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা। জীবনে সবচেয়ে বড় জিনিসটা হলো দৃষ্টিভঙ্গি ঠিক করা, এটা হয় আপনার ভেতর ছাইচাপা আগুনকে আরো বাড়িয়ে দিয়ে আপনাকে উজ্জ্বল করবে নতুবা আপনার সকল স্বপ্নকে মাটি চাপা দিতে পারে।’

সঠিক ও পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গি নিশ্চিতভাবে লেগে থাকা পরিশ্রমে বাধ্য করে। আর লেগে থাকলে ইনশাআল্লাহ একদিন সফলতা আসবেই।

ড. মু. আলী আসগর, প্রফেসর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

(ফেসবুক পোস্ট থেকে)