তীব্র তাপ প্রবাহের মাধ্যমে আগমনের অগ্রিম বার্তা জানিয়ে দিচ্ছে ঋতুরাজ গ্রীষ্ম।গত কয়েকদিনের তীব্র গরমে অস্থির হয়ে উঠছে জনজীবন।রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি থেকে তীব্র ধরনের তাপ প্রবাহ।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে,বুধবার(১২ এপ্রিল)রাজধানী ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৮.৯°সেলসিয়াস।রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.১°সেলসিয়াস।চট্টগ্রাম এবং খুলনার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৫.২°সেলসিয়াস এবং ৩৯.০° সেলসিয়াস।দেশের উপর দিয়ে চলমান এই তাপপ্রবাহ আরও ১ সপ্তাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানায় আবহাওয়াবিদরা। ২০ এপ্রিলের পরে রয়েছে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা।

তীব্র দাবদাহে বেশ ভোগান্তিতে আছে রাজধানী ঢাকার মানুষ।প্রচন্ড গরম সহ্য করে দীর্ঘসময় জ্যামে কাটাতে হয় তাদের।পরিবহনগুলোতেও দেখা যাচ্ছে নানা অব্যবস্থাপনা। দ্বিগুন-তিনগুন যাত্রী বহন করছে বাস চালকরা। রোজা রেখে এই তাপপ্রবাহ সহ্য করে কর্মক্ষেত্রে যেতে হয় অনেকেরই।এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে রয়েছে শিশু এবং বৃদ্ধরা।বেশ ভোগান্তিতে রয়েছেন খেটে-খাওয়া মানুষরাও।এই তীব্র গরম সহ্য করে প্রতিদিন অর্থান্বেষে যেতে হয় তাদের।

তীব্র এই তাপপ্রবাহের একই চিত্র দেখা যায় গ্রাম বাংলাতেও।এই দাবদাহ সহ্য করে মাঠে-ঘাটে কাজ করছেন অনেকেই।তীব্র এই দাবানলে ফাটল ধরেছে ফসলের মাঠে। বৃষ্টি না হওয়ায় ধান খেতে ঘনঘন সেচ দিতে হয় কৃষকদের। লোডশেডিং গ্রামীণ মানুষের ভোগান্তিকে দ্বিগুন করেছে।বিভিন্ন জায়গায় ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিং হচ্ছে।

এই তীব্র তাপপ্রবাহে হিট ষ্ট্রোকসহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন অনেকই।যে যে লক্ষণগুলো দেখলে বুঝবেন হিট ষ্ট্রোকের ঝুঁকিতে আছেন,
প্রচন্ড মাথা ব্যথা হওয়া, গায়ের চামড়া লাল শুকনো খসখসে হয়ে যাওয়া,বমি বমি ভাব দেখা দেয়,পালস ভলিউম বেড়ে বা কমে যায়,অনেক সময় আক্রান্ত ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে যায়।

হিট ষ্ট্রোক থেকে বাঁচতে যা যা করনীয়,
শিশুদের বাসা থেকে কম বের করা উচিত,শিশুদের পাতলা,সুতির আরামদায়ক পোশাক পড়াতে হবে,প্রতিদিন ঠান্ডা পানিতে গা ধুতে হবে,তরল খাবার অথবা ফলের রস খেতে হবে,বাসা থেকে বের হলে অবশ্যই সানগ্লাস বা ছাতা ব্যবহার করতে হবে।

এই বিরূপ আবহাওয়া মোকাবেলায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শ গ্রহন করুন।নিজের এবং আপনজনদের যত্ন নিন।