সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মৃত্যু স্বাভাবিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, মওদুদ আহমদের মৃত্যু হয়েছে মানসিক টেনশনে।
বুধবার নোয়াখালীর কবিরহাট মডেল হাইস্কুলের হলরুমে উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, মৃত্যুর তিন মাস আগে মওদুদ আহমদ আমাকে বলেছিলেন, কিছু দিনের মধ্যে কয়েকটি মামলায় তাকে ১০ বছরের জন্য জেলে পাঠানো হতে পারে। এতে বোঝা যায়, তার মৃত্যু স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, তার মৃত্যু হয়েছে মানসিক টেনশনে। সরকার তার বাড়ি দখল করে নিয়ে গেছে; তাকে বিভিন্নভাবে লাঞ্ছিত করেছে। তিনি সব সময় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিষয়ে সোচ্চার ছিলেন। মওদুদ ভাই অব্যাহতভাবে গণতন্ত্রের সংগ্রামে লিপ্ত ছিলেন।
আমীর খসরু বলেন, একটি জবাবদিহি সরকারব্যবস্থা না হলে এ দেশের জনগণের আর কোনো মুক্তি নেই। সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে— এ জন্যই এ সরকারকে বিদায় করতে হবে। এ সরকার জনগণের আস্থাকে সম্পূর্ণরূপে বিক্রি করে দিয়েছে। এ জনগণের আস্থাকে ফিরিয়ে আনতে হলে শেখ হাসিনার বদলে কেয়ারটেকার সরকার এবং ইভিএমের বদলে ব্যালট পেপার নির্বাচন দিতে হবে। নতুবা এর সমাধান হবে রাজপথে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন কোন পথে যাচ্ছে, তা এই জনগণকেই দেখতে হবে।
আমীর খসরু বলেন, সরকার সাংবাদিকসহ সব পেশাজীবীকে নির্যাতন চালাচ্ছে, দীর্ঘ সময়েও সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার বিচার না করে আইনের শাসনকে ভূলুণ্ঠিত করেছে। এ জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি নিজের দল এবং বিভিন্ন দলের মধ্যে বিভেদ ও মতভেদ ভুলে সবাইকে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান।
বিএনপির এ নেতা বলেন, মওদুদ আহমদ রাজনীতি করেও ১৫টি বই লিখেছেন। একজন মানুষ রাজনীতি করে ১৫টি বই লিখতে পারে? এটা একটা অবিশ্বাসের বিষয়। রাজনীতি করে মানুষ খাওয়া-দাওয়ারই সময় পান না, ঘুমানোর সময় পান না, বই কোত্থেকে লিখবেন। তিনি ছিলেন একজন অনন্য ব্যক্তিত্ব।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।