দেশে প্রথমবারের মতো ই-সিম (এমবেডেড সিম) চালু করেছে দেশীয় মুঠোফোন অপারেটর গ্রামীণফোন। জানা গেছে, আগামীকাল সোমবার (৭ মার্চ) থেকে দেশের বাজারে পাওয়া যাবে এই ই-সিম। চলতি মাসের ১ তারিখে এক বিজ্ঞপ্তিতে গ্রামীণফোন জানায়, নতুন ই-সিম সংযোগ পেতে হলে গ্রাহকদের ই-সিম সমর্থন করে এমন ডিভাইস থাকতে হবে।

গ্রামীণফোনের ঢাকা ও চট্টগ্রামের এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার এবং নির্ধারিত গ্রামীণফোন সেন্টারে গিয়ে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষে ই-সিমের জন্য আবেদন করতে হবে। এ ছাড়া গ্রামীণফোনের অনলাইন শপের মাধ্যমেও ই-সিম পাওয়া যাবে। দেশে প্রথমবারের মতো যেহেতু এই প্রক্রিয়া চালু করা হচ্ছে, তাই দেশের মানুষের মনে প্রশ্ন জেগেছে, কী এই ই-সিম? কিভাবেই বা এই সিমটি পরিচালিত হয়? দেশে ই-সিম চালু করার ঘোষণা দিলে মানুষের মাঝে এই প্রযুক্তি এমন নানা ধরনের প্রশ্ন নিয়ে কৌতুহল তৈরি হয়। আর তাই আজ আমরা ই-সিম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

বর্তমান সময়ে এসে সিম বা ‘সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিটি মডিউল’ চিপের সঙ্গে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। ফোন ব্যবহার করছেন কিন্তু সিম চেনেন না এমন লোক পাওয়া দুষ্কর। সাধারণ অর্থে সিম (SIM) একটি চিপযুক্ত প্লাস্টিক কার্ড যা মোবাইল ফোনে ব্যবহার করা হয়। এই চিপের মূল কাজ হলো বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষণ করা।

এছাড়াও ফোনে কল, মেসেজ পাঠানোর মতো সুবিধা পাওয়া যায় সিমের মাধ্যমে। সিমের সর্বশেষ সুবিধা কিংবা সংযোজন বলা চলে ইন্টারনেট সুবিধাকে। সহজ ভাষায়, সিম কার্ড হচ্ছে কোনো মোবাইল অপারেটরের নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হওয়ার মাধ্যম। সিমে নম্বর সেভ করার সুবিধা থাকে বিধায় ফোন পরিবর্তনের সময় বেশ সহজে নতুন ফোনে সিম প্রবেশ করালে পূর্বের সকল নাম্বার ফিরে পাওয়া যায়। আমরা জানি সিম কার্ড অনেক আগের প্রযুক্তি, যা অনেকদিন ধরেই সেবা প্রদান করে আসছে।

তবে সময়ের সঙ্গে প্রযুক্তি পরিবর্তনের যে গতি তাতে সিম কার্ডের প্রযুক্তি পরিবর্তিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। পৃথিবীর অনেক দেশই সিম কার্ডের প্রাথমিক যুগ থেকে ই-সিমের যুগে প্রবেশ করেছে। মূলত এই খাতে এখন অবধি সর্বাধুনিক প্রযুক্তিটি হলো ই-সিম। নতুন ধরনের এই সিম প্রযুক্তি, যা প্রচলিত সিম ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে সক্ষম হয়েছে। তবে পার্থক্য হলো এটি সাধারণ সিমের মত এটি রিমুভ করা যায়না, বা অন্য ফোনে প্রবেশ করানো যায়না।

এটি সরাসরি ফোনের মধ্যে এমবেডেড করা থাকে। ই-সিম ব্যবহার এবং সীমাবদ্ধতা নির্ভর করে ডিভাইসের নির্মাতা এবং নেটওয়ার্ক বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানের উপর। যদিও প্রতিটি প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের নিকটে পৌঁছানোর জন্য নতুন নতুন সুবিধা আনছে। এক হিসেবে জানা গেছে, গ্রাহক চাইলে ব্যবসায়ের জন্য একটি নম্বর এবং ব্যক্তিগত কলের জন্য অন্য একটি নম্বর ব্যবহার করতে পারবেন। আবার একই ডিভাইসে বিদেশে ব্যবহারের জন্য একটি ডেটা রোমিং সিম যুক্ত করতে পারবেন। এমনকি ব্যবহারকারী সম্পূর্ণ আলাদা ভয়েস এবং ডেটা প্ল্যান রেখে ই-সিম ব্যবহার করতে পারেন।
ই-সিম কি?
ই-সিমের সহজ অর্থ হলো, একটি এমবেডেড সিম কার্ড। এখানে কোনোপ্রকার ফিজিক্যাল সিম কার্ড জড়িত নয়। ব্যবহারকারীদের কখনোই ফিজিক্যালি সিম কার্ড অদলবদল করার প্রয়োজন পড়বে না এই প্রযুক্তিতে। তবে এই প্রযুক্তিটি কার্যক্ষম করতে হলে এটি নেটওয়ার্ক বা ক্যারিয়ার দ্বারা সমর্থিত হতে হবে।

যদিও এখন পর্যন্ত সারাবিশ্বে সমস্ত নেটওয়ার্ক ই-সিমের অপারেশন চালু করেনি। আরও সহজভাবে বললে, একটি ই-সিম হলো মূলত ফোনের ভিতরে একটি চিপ যার কাজ NFC চিপের মতোই। তবে এর পেমেন্ট প্রযুক্তি পুরোপুরি এপল-পে কিংবা গুগল-পে’র মতো।

আবার একটি ই-সিমের তথ্য পুনরায় লিখনযোগ্য। অর্থাৎ, গ্রাহক চাইলেই একটি কলের মধ্যদিয়ে নিজের অপারেটর পরিবর্তন করে নিতে পারবেন। এই সিমের ডেটা প্ল্যান এমনভাবে প্রোগ্রামিং করা হয় যাতে করে এই সকল তথ্য নতুন করে যোগ করা কিংবা পরিবর্তন করা সহজ হয়। একটি মোবাইল ডিভাইসের একাউন্টে ই-সিম সহ ডিভাইসগুলোকে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই সংযুক্ত করা যায়।

ই-সিমের অসুবিধা সমূহ
পছন্দের ক্ষেত্রে এটি গ্রাহকদের জন্য অসুবিধা তৈরি করতে পারে। যদি একটি ফোন কোম্পানি একচেটিয়াভাবে এই প্রযুক্তিটি বিক্রি করা শুরু করে তাহলে অন্য ফোন সেট গ্রাহকদের জন্য এটি উন্মুক্ত থাকবে না। তখন দেখা যাবে হ্যান্ডসেটগুলো শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট নেটওয়ার্কের সঙ্গেই প্রি-লোড হবে যার ভবিষ্যৎ অনেকটাই সংকুচিত।

এছাড়াও গ্রাহকেরা তাদের ব্যবহৃত নেটওয়ার্কের সাথে যোগাযোগ না করলে সহজে ই-সিম পরিবর্তন করতে পারবেন না। সেক্ষেত্রেও একটি সীমাবদ্ধতা থেকেই যায়, যেটি খুব সহজেই সমাধানযোগ্য নয়। আমরা জানি যে, ক্লাউড ব্যাকআপে সিম কার্ডের তথ্য এবং নম্বর সংরক্ষণের বিষয়টি খুবই জনপ্রিয়, সহজলভ্য। কিন্তু যেসব ব্যবহারকারী অপেক্ষাকৃত কমদামী ফোন ব্যবহার করেন তাদের জন্য সিম থেকে ই-সিমে পদার্পণ করা সহজ হবে না।

তাই বলা যায় এটি যতটা প্রযুক্তি সহায়ক ততটাই অসুবিধাজনকও। হয়তো বা অদূরভবিষ্যতে মানুষ ই-সিমে আসার জন্যেই ডিভাইস পরিবর্তন করবে। কিন্তু একটি ডিভাইসে নির্দিষ্ট অপারেটরের ই-সিম আমাদের মতো দেশের প্রেক্ষাপটে কতোটা ব্যবসা সফল হবে তা বলা কঠিন! কারণ অতীতে সিটিসেল একটি সিমের ডিভাইস বাজারে এনে দেউলিয়া হয়েছিল। বর্তমানে ই-সিম হলেও প্রযুক্তিটি যেহেতু একই সেহেতু আশঙ্কা থেকেই যায়।

কারণ অপারেটর পরিবর্তনের জন্য গ্রাহক অবশ্যই তার বর্তমান অপারেটরের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভরশীল হতে হবে। এখন দেখার বিষয় বাংলাদেশে ই-সিম কতোটা গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করে।
অতীতে সিটিসেল একটি সিমের ডিভাইস বাজারে এনে দেউলিয়া হয়েছিল। বর্তমানে ই-সিম হলেও প্রযুক্তিটি যেহেতু একই সেহেতু আশঙ্কা থেকেই যায়
ই-সিমের সুবিধা

আমরা ইতোমধ্যেই ই-সিমের প্রাথমিক কিছু অসুবিধা জানতে পেরেছি। তবে প্রতিটি প্রযুক্তি সামনে আসে মানুষকে সহজলভ্য সুবিধা দিতে। ফোনের ক্ষেত্রে ই-সিমও সেটিই করবে বলে আশা করা যায়। তাত্ত্বিকভাবে ই-সিমের সুবিধা হওয়া উচিত, ব্যবহারকারী নিজ দেশের বাহিরে গেলে তার প্রধান নম্বরের অ্যাকসেস বজায় রেখে ফোনকে একটি রোমিং ই-সিম যুক্ত করে বিদেশেও নম্বরটি চালু রাখা যায়।

বর্তমান সময়ে বিদেশে গেলে সিম পরিবর্তন করলে হোম নম্বরের অ্যাকসেস পুরোপুরি হারিয়ে ফেলেন গ্রাহকরা। ই-সিম এই সমস্যা থেকে গ্রাহকদের মুক্তি দিতে পারে। এই প্রযুক্তি ফোন নির্মাতাদের একটি সুবিধা দেয়। প্রযুক্তিবিদদের ধারণা এটি ফোন নির্মাতাদের আরো ছোট ডিভাইস তৈরিতে উৎসাহ দিবে। কারণ যে ডিভাইসে ই-সিম যুক্ত করা হবে সেখানে সিম-ট্রে কিংবা আনুসাঙ্গিক সকল ট্রে সরিয়ে ফেলা হবে। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে সিম তৈরি বা বিপণন করার জন্য বাজারে লোকবল বাড়ানোর প্রয়োজন পড়বে না।

এছাড়াও ল্যাপটপ, ট্যাবলেট মতো দ্রুত ডিভাইসের জন্যেও ই-সিম আদর্শ প্রযুক্তি হতে পারে। কারণ এই ধরণের ডিভাইসে বিরামহীন ইন্টারনেট প্রয়োজন পড়ে যার নিশ্চয়তা শুধুমাত্র ই-সিম দিতে পারে। ভোডাফোন (Vodafone) ইতোমধ্যেই ই-সিমের ভবিষ্যৎ কার্যকারিতা নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে।

তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, ই-সিম ব্যবহারের জন্য ডিভাইসে বাড়তি কোনো জায়গা কিংবা চিপসেট প্রয়োজন পড়েনা বলে এই প্রযুক্তি ইন্টারনেটের সঙ্গে অতীতের চেয়েও বেশি ঘনিষ্ঠ হতে পারে। অতীতে বহু চেষ্টার পরেও ফিটনেস ট্র্যাকার, এবং ডিজিটাল চশমা প্রযুক্তিকে স্ট্যান্ড অ্যালোন, ফোর-জি, ফাইভ-জি প্রযুক্তিতে যুক্ত করতে পারেননি গবেষকরা। কিন্তু ই-সিমের বিপ্লবে সেটিও এখন সম্ভব হয়েছে।

কোন নেটওয়ার্কে ই-সিম সাপোর্ট করে?
ই-সিম শুধুমাত্র নির্বাচিত কিছু ক্যারিয়ারে সাপোর্ট করে। ব্যবহারকারীদের হয় একটি ক্যারিয়ার অ্যাপ থাকতে হবে নয়তো একটি QR কোড থাকবে যা দ্বারা সহজেই স্ক্যান করা সম্ভব। আবার ব্যবহৃত ক্যারিয়ারটি হতে হবে উল্লেখিত অপারেটিং সিস্টেম সহায়ক। অর্থাৎ, ই-সিমের পুরো পরিচালনা কিংবা সাপোর্টিং সিস্টেম একে অপরের উপর নির্ভরশীল।

আমরা যদি পশ্চিমা বিশ্বের দিকে তাকাই তাহলে দেখা যাবে যুক্তরাজ্যে শুধুমাত্র EE, O2, Vodafone ই-সিমের সেবা প্রদান করছে। আবার এদের মধ্যে Vodafone শুধুমাত্র অ্যাপল ঘড়িতে এটির সেবা চালু রেখেছে। আবার এমন নয় যে, এই প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক আগে থেকেই এই সেবা চালু করেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২১ সালের শেষদিকে ব্রিটেন এমন পদ্ধতি নিয়ে কাজ শুরু করে।

ব্রিটেনে একটি ই-সিম পেতে হলে অপারেটর নির্দেশিত দোকান থেকে POP করতে হয়। আবার নির্দিষ্ট এপের মাধ্যমে চালু করতে হলে গ্রাহক পরিষেবায় কল করে নিয়ম মেনে ই-সিম প্যাক একটিভ করা হয়। EE প্রতিষ্ঠানের সিম কিনতে গেলে একটি প্যাক দেয়া হয় যাতে কোনো সিম থাকে না।

সিমের পরিবর্তে সেখানে কিছু নির্দেশনা উল্লেখ থাকে যার মাধ্যমে ই-সিম একটিভ করা যায়। সকল নির্দেশনা অনুসরণ করার পরিপ্রেক্ষিতে সিমের প্যাকে থাকা QR কোডটি স্ক্যান করার মাধ্যমে EE অপারেটিং সিস্টেম চালু হয়। উল্লেখ্য যে, প্রথাগত সিমের মতোই ই-সিম প্যাকের নির্দিষ্ট নম্বর থাকে যার মাধ্যমে সেটিকে নির্দেশ করা হয়। শুধুমাত্র যুক্তরাজ্য নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া সহ প্রায় সব দেশেই ই-সিমের অপারেটিং একই ধরণের হয়ে থাকে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সমূহের শর্তাবলী, POP সেবা পরিবর্তন পদ্ধতি ভিন্ন হয়।

যেসব স্মার্টফোনে সাপোর্ট করবে ই-সিম
দেশে প্রথমবারের মতো গ্রামীণফোনের ই সিম চালুর ঘোষণা দেয়ার পর আশা করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে অন্য অপরেটররাও নিজেদের গ্রাহকদের জন্য এই প্রযুক্তি চালু করবে। ভবিষ্যতে সকল স্মার্টফোনেই এই সিম সাপোর্ট করবে। কিন্তু, বর্তমানে আপনার হাতে থাকা ফোনটি কি এই প্রযুক্তিবান্ধব?

যে সকল ফোনগুলোতে ই-সিম সাপোর্ট করবে-
অ্যাপল ডিভাইস-
আইফোন ১১ সিরিজ: ‎আইফোন ১১, ‎আইফোন ১১ প্রো‎, আইফোন ১১ প্রো ম্যাক্স‎।
‎আইফোন ১২ সিরিজ: আইফোন ১২ মিনি, ‎আইফোন ১২‎, ‎আইফোন ১২ ম্যাক্স‎, ‎আইফোন ১২ ম্যাক্স প্রো‎।
আইফোন ১৩ সিরিজ: আইফোন 13 মিনি‎, ‎আইফোন ১৩‎, ‎আইফোন ১৩ প্রো‎, ‎আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স‎।
আইফোন এক্স সিরিজ: আইফোন এক্সএস‎, ‎আইফোন এক্সএস ম্যাক্স‎, ‎আইফোন এক্সআর।
‎আইফোন এসই সিরিজ: ‎আইফোন এসই (কেবল ২০২০) মডেল‎।
আইপ্যাড: ‎আইপ্যাড এয়ার (৩য় জেনারেশন)‎, ‎আইপ্যাড প্রো (৩য় জেনারেশন)‎, ‎আইপ্যাড মিনি (৫ম জেনারেশন)‎।
অ্যাপল ওয়াচ: ‎ওয়াচ সিরিজ ৩, ‎৪, ৫ ‎ও ৬।

অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে-
স্যামসাং ফোল্ড ও ফ্লিপ ফোন: ‎স্যামসাং গ্যালাক্সি ফোল্ড‎, স্যামসাং গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড২ ৫জি, স্যামসাং গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড৩ ৫জি‎, ‎‎স্যামসাং গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ‎।
২০ সিরিজ: স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২০, ‎স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২০+‎, ‎স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২০ আলট্রা‎, ‎স্যামসাং নোট ২০+।‎
২১ সিরিজ: স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২১, ‎স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২১+ ৫জি‎, স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২১+ আলট্রা ৫জি।
গুগল পিক্সেল: ‎গুগল পিক্সেল 3 এবং 3 এক্সএল‎, ‎গুগল পিক্সেল 3a এবং 3a XL‎, ‎গুগল পিক্সেল 4 এবং 4 এক্সএল‎, ‎গুগল পিক্সেল 4A ৫জি‎, ‎গুগল পিক্সেল 2 এবং 2 এক্সএল‎, ‎গুগল পিক্সেল ৫‎, ‎গুগল পিক্সেল ৫এ‎, ‎গুগল পিক্সেল ৬‎, ‎গুগল পিক্সেল ৬ প্রো‎।
হুয়াওয়ে: হুয়াওয়ে পি৪০, হুয়াওয়ে পি৪০ প্রো, হুয়াওয়ে পি৫০ প্রো, হুয়াওয়ে মেইট ৪০ প্রো।

অপো: অপো ফাইন্ড এক্স৩ প্রো, অপো রিনো ৫এ, অপো রিনো ৬ প্রো ৫জি।
এছাড়া, ‎মটোরোলা রেজার ২০১৯, নু মোবাইল এক্স৫, ‎জেমিনাই পিডিএ‎, ‎রাকুটেন মিনি‎, ‎সনি এক্সপেরিয়া ১০ থ্রি এসব ফোনেও সাপোর্ট করবে এই প্রযুক্তি।

এদিকে, ই-সিমের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্ব দিয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, গ্রাহকেরা ই-সিমে একাধিক নম্বর ব্যবহার করতে পারবেন। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের জন্য হুমকিস্বরূপ এবং বর্তমান ও ভবিষ্যতের সুরক্ষায় সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে। প্রকৃতির সুরক্ষায় সবার সঙ্গে একাত্ম হওয়ার ক্ষেত্রে ই-সিম পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্যে অন্যতম।

গ্রামীণফোন জানিয়েছে, ব্যবহারকারীদের তথ্য ডিজিটাল ফরম্যাটে সংরক্ষণ করা থাকবে বলে ই-সিম উন্নত নিরাপত্তা দেবে। ডিভাইসের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে বলে ই-সিম হারিয়ে যাওয়ার কোনো ঝুঁকি থাকবে না। একই সঙ্গে সিম পিনের ঝামেলা থেকেও গ্রাহকেরা রক্ষা পাবেন। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৫ সালের মধ্যে ই-সিমের ব্যবহার বেড়ে হবে ৩.৪ বিলিয়ন। এ কার্যক্রমটি দায়িত্বশীলভাবে পরিচালনার মাধ্যমে প্রযুক্তি খাতের অগ্রণী হিসেবে বাংলাদেশের নির্ধারণ করা ইএসজি লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে এ পথচালায় যুক্ত হযেছে গ্রামীণফোন।

 

 

কলমকথা/সাথী