জিএম টিপু সুলতান, মণিরামপুর, যশোর প্রতিনিধি:- ভবদহের উত্তর অঞ্চলে মণিরামপুরের ৯৬ এলাকার মানুষের দুঃখের শেষ নাই। দীর্ঘদিন যাবৎ ভবদহ যেন এ এলাকার জনসাধারনের বিষ ফোঁড়া হয়ে আছে যা সারানোর কেউ নাই।

চলতি বর্ষা মৌসুমে কোন ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়াতে কিছুটা স্বস্তিতে আছে জনগন কিন্তু এ এলাকার সকল বিল-খাল-নালা এখনো পানিতে টই- টুম্বুর পানি /জল সরানো একমাত্র পথ ভবদহ কিন্তু সেটাও সম্ভব হচ্ছে না কারণ ভবদহ সুইচ গেটের উপর যে সেচ মেশিন আছে তার পানি টেকা-মুক্তেশ্বরী নদী দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে না কারণ ভূমি দস্যুরা নদী দখল করে ঘের এবং আবাদি জমি তৈরি করে নিচ্ছে এবং নদীর উপর দিয়ে তৈরি হচ্ছে টেকা ব্রিজ। ফলে ব্রিজ নির্মানের কারনে পাশে ছোট একটি কাঠের সেতু নির্মান হয়েছে যা আশাতীত না।

তাছাড়া ব্রিজ নির্মান কতৃপক্ষ ব্রিজ নির্মানের স্থানে মাটি ফেলে নদীর তলদেশ উঁচু করে রেখেছে সেখান থেকে পানি বের হওয়া দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে তারপরও যেটুকু জায়গা দিয়ে পানি সরছে তাতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে নেট-পাটা ঘেরের ছোট ছোট বাঁধ ও সাগর শেওলা।

সাগর শেওলার তীব্রতা এতটাই যে তার উপর দিয়ে মানুষ পায়ে হেঁটে পার হয়ে যাচ্ছে অনায়াসে। এলাকাবাসী জানান অতি দ্রুত নদীর শেওলা অপসারন করে নদী ড্রেজিং না করলে এলাকার কৃষক/ মৎস্যচাষী সহ সকলের জন্য চরম দুর্ভোগ নেমে আসবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বি এ ডি সি যশোর মিলে কোটি কোটি টাকা খরচ করে ভবদহ সুইচ গেটের উপর বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্প বসালেও টাকার গচ্চা ছাড়া আর কিছুই হয়নি তারা শুধু সরকারী অর্থ নষ্ট করে নিজেদের স্বার্থ বাঁচিয়ে চলে গেছে যার ফল ভোগ করতে হচ্ছে ৯৬ এলাকার কৃষককে।

এ এলাকার বিলগুলোতে বছরে একবার বোরো আবাদ ছাড়া আর কোনো ফসল হয় না কিন্ত কয়েক বছর যাবৎ সেটাও বন্ধ আছে। টেকাব্রীজের পাশে ছোট একটি কাঠের ব্রীজ করলেও তার এক সাইড ভেঙ্গে এমন হয়ে আছে যাদিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে নদী পার হতে হয় এখানে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এলাকার কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের দাবী সেচ পাম্পের বদলে নদী খনন ও সুইচ গেটের কপাট উন্মুক্ত দখলদারদের উচ্ছেদ করে নদী আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে পারলে নদীকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব এবং যতদিন টেকাব্রীজ নির্মান শেষ না হয় ততদিন ব্রীজের পাশে একটি বেইলি ব্রীজ নির্মানের যা দিয়ে ছোট ছোট গাড়ী সহ জন সাধারন নির্বিগ্নে চলাচল করতে পারে।