বিপিএলে এতদিন যৌথভাবে চারটি করে শিরোপা জেতার রেকর্ড ছিল মাশরাফি মর্তুজা আর লিটন দাসের। বৃহস্পতিবার রাতে মাশরাফিদের হারিয়ে কুমিল্লার হয়ে আরেকটি ট্রফি জিতে রেকর্ডটা একার করে নিলেন লিটন। খেলোয়াড় হিসেবে সবচেয়ে বেশি পাঁচ শিরোপা জেতার নজির গড়লেন তিনি।
মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নবম আসরের ফাইনালে মাশরাফির সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৭ উইকেটে হারায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। টানা দ্বিতীয় ও সব মিলিয়ে চতুর্থবারের মতো শিরোপা জেতে তারা। ১৭৬ রানের লক্ষ্যে জয়ের ভিত গড়ে দিতে লিটনই রাখেন বড় ভূমিকা। ৩৯ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ৫৫ রান। পরে ৫২ বলে ৭৯ রানের ইনিংস খেলে কাজ সারেন জনসন চার্লস। এতে করে লিটনের হাতেও উঠে পঞ্চম ট্রফি। বিপিএলে প্রথম শিরোপা মাশরাফির নেতৃত্বেই জেতেন লিটন।
২০১৩ সালে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের শিরোপা জয়ী স্কোয়াডে ছিলেন তখনকার নবাগত লিটন। সেবার অবশ্য কেবল একটাই ম্যাচ খেলার সুযোগ পান তিনি। ২০১৫ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের প্রথম শিরোপা জয়েও মাশরাফিকে অধিনায়ক পান লিটন। সেবার ৯ ম্যাচ খেলে করতে পেরেছিলেন স্রেফ ১২৩ রান।
মাশরাফি ততদিনে জিতে নেন তিন শিরোপা। ২০১৭ সালে রংপুরকে চ্যাম্পিয়ন বানিয়ে রেকর্ড চতুর্থ ট্রফি উঠে তার হাতে। অধিনায়ক হিসেবে চার শিরোপা জেতার রেকর্ড এখনো অটুট তার। ২০২০ সালে রাজশাহী রয়্যালসে যোগ দিয়ে শিরোপা জেতার অংশ হন লিটন। ততদিনে দেশের ক্রিকেটে প্রতিষ্ঠিত এই ব্যাটার দলের জয়েও রাখেন বড় অবদান। ১৫ ম্যাচ খেলে ১৩৪.২১ স্ট্রাইক রেট ও ৩২.৫০ গড়ে করেন ৪৫৫ রান।
২০২২ সালে আবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পান লিটন। কুমিল্লাকে কাপ জেতাতে ৯ ম্যাচে ১৩৫.৭১ স্ট্রাইক রেটে লিটন করেন ২০৯ রান। এবার কুমিল্লাকে আরেকটি শিরোপা এনে দিতেও রাখলেন বড় ভূমিকা। ১৩ ম্যাচ খেলে ৩১.৫৮ গড় আর ১২৯.৩৫ স্ট্রাইকরেটে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৭৯ রান করেছেন তিনি। মাশরাফির সঙ্গে যৌথভাবে চারটি শিরোপা জিতে দ্বিতীয়তে উঠে এসেছেন ইমরুল। অধিনায়ক হিসেবে তিনি জিতেছেন তিন শিরোপা। সেখানেও মাশরাফির ঠিক পরে দ্বিতীয়তে আছেন তিনি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।