সাফ ওমেন চ্যাম্পিয়নশীপে আজ গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে শক্তিশালী ভারতের মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে প্রথম দুই ম্যাচে জয় নিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে দল দুটি।
তবে মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দশরথ রঙ্গশালায় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবার লক্ষ্য নিয়ে পরস্পরের মোকাবেলা করবে প্রতিবেশী দুই দেশের মেয়েরা। ইতোমধ্যে অবশ্য গোল ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। তাই আজ ড্র করতে পারলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারবে ভারত। অপরদিকে সমান পয়েন্ট নিয়েও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।
সে কারণে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে হলে অবশ্যই ভারতকে হারাতে হবে সাবিনা খাতুনদের। কৌশলগত কারনেও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ উভয় দলের জন্য। কারণ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারলেই সেমিফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে এড়ানো সহজ হবে দল দুটির। ফলে কিছুটা সহজেই ফাইনালে উঠার সুযোগ পাওয়া যাবে।
অবশ্য বাংলাদেশ দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের মতে, এটি দলের জন্য কোন চাপ নয়। কারণ ইতোমধ্যে প্রাথমিক লক্ষ্য পুরণ হয়ে গেছে। দল সেমিফাইনালে চলে গেছে। নিজেদের যে উন্নতি ঘটেছে মেয়েরা কাল (আজ) তার পরীক্ষা দিবে ভারতের বিপক্ষে।
আসন্ন ম্যাচের আগে সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) কাঠমান্ডুর আর্মি হেডকোয়ার্টার্স মাঠে শিষ্যদের নিয়ে শেষবারের মতো অনুশীলন সারেন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। এ সময় তিনি বলেন,‘ ভারত সব সময় দক্ষিন পুর্ব এশিয়ার সেরা দল।
এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। সেখানে অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ও রয়েছে। তবে আমাদের মেয়েদের ও অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। কাল দশরত স্টেডিয়ামে আমরা একটি ভালো ম্যাচের জন্য অপেক্ষা করছি। মেয়েরা যে আস্তে আস্তে পরিণত হচ্ছে তার ছাপ কাল আমরা দেখতে পাব।’
ভারতের বিপক্ষে এর আগে কোনো জয় নেই। সাফল্য বলতে শুধু একটি ড্র, এমন পরিসংখ্যান প্রসঙ্গে ছোটন বলেন,‘ পরিসংখ্যান নয়, এবার আমাদের মেয়েরা শুরুই করেছে ভালো ম্যাচ দিয়ে। তাই আমরা ভালো কিছু আশা করছি। আসলে অতীত ভুলে ভালো কিছু করার জন্য এবার মেয়েরা এসেছে। আশা করি কাল মেয়েরা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ খেলবে।
ভারতকে নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ কোচ বলেন, ভারতীয় দলে বেশ কয়েকজন ভাল খেলোয়াড় রয়েছে। তাদের নিয়ে আমাদের বাড়তি পরিকল্পনা অবশ্যই থাকবে।
ভারতকে নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনার কারণ হচ্ছে শক্তিশালী দলটির সঙ্গে সব আসরে বিগত দশবারের মোকাবেলায় একবারও জয় পায়নি বাংলাদেশ। আর সাফ আসরে ছয়বার ভারতের মুখোমুখি হয়েছিলেন সাবিনারা। ২০১৬ সালে গোলশূণ্য ড্র করে ত্রিরঙ্গাদের রুখে দেয়া ম্যাচটিই সর্বোচ্চ সাফল্য লাল সবুজের মেয়েদের। সাফের এই আসরেও শিরোপার প্রধান দাবীদার ভারতই।
গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানকে ৩-০ গোলে হারালেও মালদ্বীপকে ৯-০ গোলে বিধ্বস্ত করে ছেড়েছে তারা। যেখানে দ্বীপদেশটির বিপক্ষে ৩-০ গোলে জিতলেও পাকিস্তানকে ৬-০ গোলে হারিয়েছেন সাবিনা খাতুনরা।
এক প্রশ্নের জবাবে ছোটন বলেন,‘ আনাই মোগিনি আজ (গতকাল) পুর্নাঙ্গ অনুশীলন করেছে। সে ফিরে আসায় দলের শক্তি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে তাকে পরিকল্পনায় রাখতেও পারি।’
গতকালকের অনুশীলনে দুটি দলে বিভক্ত হয়ে প্রস্তুতি সেরেছেন মারিয়া মান্ডা, আঁখি খাতুনরা। সেখানে দেখা যায়, পাকিস্তানের বিপক্ষে উইনিং কম্বিনেশনেই আস্থা রাখছেন বাংলাদেশ কোচ।
সেই হিসেবে কাল ভারতের বিপক্ষে একাদশে থাকতে পারেন সাবিনা খাতুন, শিউলি আজিম, শামসুন নাহার সিনিয়র, আখি খাতুন, মাসুরা পারভীন, মনিকা চাকমা, সানজিদা আক্তার, মরিয়া মান্দা, কৃষ্ণা রানী সরকার, সিরাত জাহান স্বপ্না ও রুপনা চাকমা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।