ক্রিকেটের ধারাভাষ্যকার থেকে একটু বিরতি নিয়ে থাইল্যান্ডে গিয়েছিলেন শেন ওয়ার্ন। তবে ছুটি কাটাতে গিয়ে চিরতরেই চলে গেছেন ছুটিতে। চিকিৎসকরা বলছেন, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন ওয়ার্ন। সংবাদমাধ্যমকে থাই পুলিশ জানায়, পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তারা জানতে পেরেছে, অস্ট্রেলিয়া থাকতেই বুকে ব্যথা অনুভব করেছিলেন ওয়ার্ন।

শুক্রবার (৪ মার্চ) সবাইকে কাদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সেরা লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্ন। তবে থাইল্যান্ডে তার মৃত্যু হওয়ায় অনেকেই এই মৃত্যুকে স্বাভাবিক মৃত্যু ভাবছেন না। কিন্তু থাইল্যান্ডের পুলিশ জানিয়েছে, ওয়ার্নের মৃত্যু অস্বাভাবিক নয়। তার আগে থেকেই বুকে ব্যথা ছিল। এর জন্য চিকিৎসাও করিয়েছেন বলে জানিয়েছে থাই পুলিশ।

থাই পুলিশের সুপারিনটেনডেন্ট ইয়ুত্তানা সিরিসোম্বাত বলেছেন, ‘তার (ওয়ার্ন) আগে থেকেই হাঁপানি রোগ ছিল এবং হার্টের চিকিৎসকও দেখিয়েছিল। পরিবারের কাছ থেকে জেনেছি, অস্ট্রেলিয়া থাকতেই বুকে ব্যথাও অনুভব করেছিলেন ওয়ার্ন।’

শুক্রবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যায় ওয়ার্নকে তার ভিলার রুমে অচেতন অবস্থায় পান বন্ধু অ্যান্ড্রু নিওফিতু। তখন প্রায় ২০ মিনিট ধরে মুখে মুখ লাগিয়ে সিপিআর দেওয়ার পরেও কোনো কাজ হয়নি। এরপর অ্যাম্বুলেন্সে করে ওয়ার্নকে নিয়ে যাওয়া হয় থাই ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালে।

এদিকে ওয়ার্নকে নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন তার সাবেক সতীর্থরা। একই সঙ্গে মাঠ মাতানো অস্ট্রেলিয়ার পেস বলার গ্লেন ম্যাকগ্রা বলেছেন, তোমার সঙ্গে অসাধারণ কিছু মুহূর্ত ও স্মৃতির ভাগীদার আমি। তোমার পাশে খেলতে পারার অভিজ্ঞতা চির আনন্দদায়ী ও গৌরবের। তোমার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। শান্তিতে থেকো।

এ ছাড়া স্টিভ ওয়াহ লিখেছেন, কিংবদন্তি শেন ওয়ার্নের সঙ্গে আমার বহু বছরের সম্পর্ক। তিনি এত কম বয়সে মারা গেছেন শুনে আমি গভীরভাবে মর্মাহত ও দুঃখিত। যেভাবে বোলিং ইতিহাসের জন্ম দিয়েছেন তিনি, তা দেখে আমি মুগ্ধ। একসঙ্গে যে দারুণ মুহূর্তগুলো কাটিয়েছি, সেগুলোয় তাকে স্মরণ করব।

 

কলমকথা/ বিথী