শনিবার রাতে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা। খেলার মূল পর্ব ২-২ সমতায় শেষ হলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর অতিরিক্ত সময়ও শেষ হয়ে যায়, কিন্তু ম্যাচ ড্র-ই থেকে যায়। ফলে টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ। এতে ৪-৩ ব্যবধানে জেতে আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডসের এই ম্যাচে এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, লিওনেল মেসি ও ওয়াউট ওয়েঘর্টসের পাশাপাশি আলোচনায় ছিলেন আরও একজন, তিনি হলেন স্প্যানিশ রেফারি আন্তনিও মাতেও লাহজ। ম্যাচে তিনি এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা নিয়ে দুই দলই অসন্তুষ্ট।

এই ম্যাচে আন্তনিও হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন ১৮টি, বিশ্বকাপ ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ। ডাচ ও আর্জেন্টাইন ফুটবলারদের কার্ড দেখিয়েছেন সমান ৮টি করে। এমনকি হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি ও সহকারী ওয়াল্টার স্যামুয়েলকেও।

বিশ্বকাপের ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্যতম ম্যাচ হিসেবে ধরা হয় ‘ব্যাটল অব সান্তিয়াগো’কে। ১৯৬২ বিশ্বকাপের ওই ম্যাচে এতটাই সহিংসতা ছিল যে, ম্যাচের রেফারি কেন অ্যাস্টন বলেছিলেন, “আমি কোনও ফুটবল ম্যাচ পরিচালনা করছিলাম না, আমি যেন মিলিটারি অপারেশনে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলাম।”

মেসি বলেন, “রেফারি সম্পর্কে কথা বলতে চাই না। মানুষ দেখেছে কী হয়েছে। ফিফার এটা পুনর্বিবেচনা করা উচিত। যে নিজের কাজটা ভালোভাবে জানে না, এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাকে দায়িত্ব দেওয়া উচিত হয়নি। আমরা খুব একটা ভালো খেলিনি। সঙ্গে রেফারির কারণেই অতিরিক্ত সময়ে খেলা পৌঁছেছে। সেসব সময় আমাদের বিপক্ষে ছিল। এমনকি যে গোলটি দিয়ে সমতায় ফিরেছে ওরা, সেটাও ফাউল ছিল না।”

টাইব্রেকারে পেনাল্টি বাঁচিয়ে নায়ক বনে যাওয়া মার্টিনেজও মেসির সুরেই কথা বলেছেন। তিনি আশা করছেন, সামনের ম্যাচগুলোতে এমন কোনও রেফারিকে আর দেখা যাবে না।

মার্টিনেজ বলেন, “রেফারি ডি বক্সের সামনে কয়েকবার ফ্রি কিক দিয়েছেন। সে চেয়েছিল যেন নেদারল্যান্ডস গোল করে। আশা করছি, এ ধরনের রেফারি সামনে আর পাব না। সে একটা অপদার্থ।”

এদিকে, আর্জেন্টিনা এসব অভিযোগ নিয়ে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফিফার পক্ষ কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।