একাদশ জাতীয় সংসদের ষোড়শ অধিবেশনে পাস হওয়া বহুল আলোচিত নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল, ২০২২ এর গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। এর ফলে এখন যে কোনো সময় এ আইন অনুযায়ী সার্চ কমিটি গঠন করে দিতে পারেন রাষ্ট্রপতি।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) এই গেজেট প্রকাশ করা হয়। সংবিধানের বিধান অনুযায়ী ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের দাবি ছিল দীর্ঘদিন ধরেই। আইন না থাকায় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সময় থেকে সার্চ কমিটি গঠন করে নির্বাচন কমিশন গঠন শুরু হয়, যা অনুসরণ করেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
গেলো বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য কমিশনার নিয়োগ বিল’ পাস হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া সংবিধানের অভিপ্রায় অনুযায়ী স্বাধীনতার ৫০ বছর পর বিলটি পাস হয়। এরপর শনিবার জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের গণযোগাযোগ শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল, ২০২২-এ সম্মতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
আপিল বিভাগের একজন বিচারকের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের এই অনুসন্ধান কমিটি হবে। আইনে বর্ণিত যোগ্যতা-অযোগ্যতা বিবেচনা করে তারা দশ জনের নাম প্রস্তাব করবেন। সেই দশ জনের মধ্য থেকেই পাঁচজনকে নিয়ে রাষ্ট্রপতি গঠন করবেন নতুন নির্বাচন কমিশন।
উল্লেখ্য, কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। তার আগেই নতুন কমিশন গঠন করতে হবে রাষ্ট্রপতিকে। সেই কমিশনের অধীনেই হবে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।