ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে অনুষ্ঠিত সভার সভাপতি গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন জানান, আসন্ন ঈদে দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে যাতায়াতকারীরা যাতে কোনো ভোগান্তির শিকার না হয়, সেজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। নৌরুটে পর্যাপ্ত ফেরির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই যানবাহনের চাপ কমেছে দেশের অন্যতম নৌ-রুট দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায়। তাই এবার ঈদ যাত্রায় স্বস্তি ফিরবে ঘরমুখো মানুষের।
ঈদ উপলক্ষে নৌরুটে চলবে ২১টি ফেরি ও ২২টি লঞ্চ। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের যাতায়াতের আরেকটি মাধ্যম দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট। এই নৌরুট দিয়ে আগে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ হাজার যানবাহন ও কয়েক হাজার যাত্রী পারাপার হতো।
তখন প্রতিদিনই ঘাট এলাকায় দীর্ঘ যানজট লেগে থাকত। এমনকি গত বছরগুলোতে ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হতো। ফেরি পার হতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মহাসড়কে যানবাহন আটকে থাকত। কিন্তু পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই পাল্টে গেছে ঘাটের চিত্র।
ঘাট সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল আজহায় অতিরিক্ত যাত্রী ও যানবাহনের চাপ সামাল দিতে এবার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে চলাচল করবে ২১টি ফেরি ও ২২টি ছোট-বড় লঞ্চ। প্রয়োজনে আরও একটি ফেরি বাড়ানো হবে। মূলত ঈদযাত্রায় যেন কোনো ভোগান্তি না হয়, সে বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম শাহ মো.খালেদ নেওয়াজ বলেন, ঈদের সব প্রস্তুতি আমাদের সম্পূর্ণ। এবার ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে চলবে ২১টি ফেরি। বর্তমানে প্রতিদিন ১৭-১৮টি করে ফেরি চলছে।
বাকি ফেরিগুলো মেরামতে রয়েছে। ঈদের আগেই তা বহরে যুক্ত হবে। এছাড়া পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই এই রুটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কম। তাই এবার কোনো ভোগান্তি ছাড়াই ঈদে ঘরমুখো মানুষ বাড়ি ফিরতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, যাত্রীদের কাছ থেকে যাতে কেউ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে না পারে, সে লক্ষ্যে কঠোর নজরদারি করা হবে। এছাড়া মহাসড়কে কোনো প্রকার ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হবে না।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।