ফিলিস্তিনের জন্য ফারাজ করিমের উদ্যোগ, সাড়া দিল বাংলাদেশ ,ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর নির্মম নির্যাতনের শিকার নিরীহ ফিলিস্তিনবাসীর সাহায্যার্থে ওষুধ সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত ও ফিলিস্তিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে কয়েকদিন পূর্বে ফিলিস্তিনের জনগণের সাহায্যার্থে ওষুধসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহ করার উদ্যোগ নেন তরুণ রাজনীতিবিদ ফারাজ করিম চৌধুরী।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার এই উদ্যোগ ব্যাপক সাড়া ফেলে।
ফলশ্রুতিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ ওষুধ পাঠাতে থাকে। একপর্যায়ে ওষুধের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় ফারাজ করিম চৌধুরী তার ফেসবুক পেইজে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তার কাছে না পাঠিয়ে সরাসরি ফিলিস্তিন দূতাবাসে পাঠানোর জন্য অনুরোধ জানান।
বৃহস্পতিবার (২০ মে) রাজধানী ঢাকার বারিধারাস্থ ফিলিস্তিন দূতাবাসে সংগৃহীত প্রায় ৫০ লাখ টাকার ওষুধ ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রমাদানের কাছে হস্তান্তর করেন ফারাজ করিম চৌধুরী।
এ প্রসঙ্গে ফারাজ করিম চৌধুরী বলেন, এই মানবিক কার্যক্রমে ওষুধ কোম্পানির মধ্যে অপসোনিন ফার্মা ও একমি ফার্মাসিউটিক্যালস এগিয়ে এসেছে। তাদেরকে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমার অনেক বন্ধুও সাহায্য করেছেন।
ফারাজ করিম চৌধুরীর এই মানবিক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর কন্যা সুমাইয়া হোসেন বলেন, শুধুমাত্র ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, মানুষ হিসেবে নির্যাতিত ফিলিস্তিনবাসীর পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব। আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি তাদের পাশে দাঁড়াতে।
এদিকে ফারাজ করিম চৌধুরীর অনুরোধে ফিলিস্তিন দূতাবাস বিকাশ/নগদ/রকেট একাউন্ট খুলেছে। যে কেউ সরাসরি এসব নাম্বারে সহযোগিতা পাঠাতে পারবেন।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকেও ফিলিস্তিনের নিপীড়িত মানুষের জন্য সহযোগিতার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।