মাবিয়া রহমান, মনিরামপুর প্রতিনিধিঃ
যশোরের মনিরামপুরে এক স্কুল শিক্ষক নিজ প্রতিষ্ঠানের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে বাল্য বিবাহ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।বিষয়টি নিয়ে এলাকায় নানান সমালোচনার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার জালালপুর গ্রামের জালালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম আব্দুস সামাদ(৩৮)। সামাদ জালালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বাংলা শিক্ষক। গত ১৪/১৫ দিন আগে জালালপুর গ্রামের হযরত আলী ফকিরের মেয়ে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রী আসমা খাতুন(১৩)কে শিক্ষক আব্দুস সামাদ বিয়ে করেন।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আমানত আলী বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছে। তবে এলাকাবাসীসহ প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষক জানান, আসমা খাতুন প্রধান শিক্ষকের ভাগ্নি।তিনি নিজেই দায়িত্ব নিয়ে বিবাহটি সম্পন্ন করিয়েছেন।
৫ই জুন রবিবার সরোজমিনে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুস সামাদ প্রতিষ্ঠান থেকে পলায়ন করে এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ রাখে। এদিকে বিবাহের বিষয়টি প্রধান শিক্ষকের ভয়ে আসমা খাতুন অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে স্বীকার করে। আসমা খাতুন জানান,গত ১৪/১৫ দিন আগে যশোরে কোর্ট ম্যারেজের মাধ্যমে বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে।
এখানেই শেষ নয়, অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুস সামাদ এর আগে দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক ছাত্রীর সাথে টানা চার বছর প্রেমের সম্পর্ক করে বিবাহ করার আশ্বাস দিলেও তাকে বিয়ে করেনি। বিষয়টি জানাজানি হলে প্রধান শিক্ষক তার সুরহা না করে উল্টো তার ভাগ্নি আসমা খাতুনের সাথে আব্দুস সামাদের বিয়ে দেন।
আসমা খাতুনের বাবা হযরত ফকির বলেন, কত মেয়ে তো পালিয়ে বিয়ে করছে সেখানে আমি তো আমার মেয়েকে সদরে বিয়ে দিয়েছি। এতে দোষের কি করলাম।
বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী বলছে বিষয়টিকে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্ত শিক্ষকসহ সকল সহায়তাকারীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেয়া হোক।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।