গত কয়েক দিনের অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নীলফামারী ডিমলা উপজেলায় তিস্তা নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পায়।
শনিবার (১৮ই জুন) সকালে ডিমলা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে টেপাখরিবাড়ি ইউনিয়নের তেলির বাজার (মসজিদ পাড়া) গ্রামের পানিবন্দি মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ এবং নদী ভাঙ্গন ও বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেন।
নদী তীরবর্তী গ্রামরক্ষা বাঁধ (স্বপন বাঁধ) পানির তীব্র স্রোতে মসজিদ পাড়া গ্রামের এই বাঁধটির প্রায় ৫০ ফিট রাস্তা ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা তিস্তা নদীর পানিতে প্লাবিত হয়। আর পানিবন্দি হয়ে পড়ে তিন শতাধিক পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফসলি জমি ও মাছের ঘের। বসত ভিটায় উঠে কোমর ও হাঁটু পানি। বসতবাড়িতে পানি উঠায় অনেকে আশ্রয় নেয় উঁচু গাইড বাঁধে।
এ সময় তিনি পানিবন্দি হওয়া দেড় শতাধিক পরিবারের মাঝে ২০ কেজি চাল, শুকনা খাবার, খাওয়ার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করেন। এছাড়া বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য পানিবন্দি এলাকায় ডিমলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর কর্তৃক একাধিক টিউবওয়েল বসানো হয়েছে।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন, টেপাখড়িবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মইনুল হক, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেজবাহুর রহমান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফেরদৌস আলমসহ অত্র ইউনিয়নের সকল ইউপি সদস্যবৃন্দ। এবারের বন্যায় ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, খগা খড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাপানি, ঝুনাগাছ চাপানি এবং গয়াবাড়ি ইউনিয়নের একাংশের প্রায় তিন হাজারের অধিক পরিবার নদী ভাঙন ও বন্যায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেন বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসবেই, আসতেই পারে। আমাদের নিকট পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী মজুদ আছে। একজন মানুষও অভুক্ত থাকবে না। এটাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।