এই হাসপাতাল এই বাসা—গত একটা বছর এভাবেই চলছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার। হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেও শারীরিকভাবে এখনও পুরোপুরি সুস্থ নন তিনি। তবে তার মনোবল দৃঢ় আছে।
গত কয়েকটা বছর ঈদের আনন্দ জুটেনি তার ভাগ্যে। করোনা মহামারি, জেলজীবন সব মিলিয়ে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ছিলেন।
এবার মানসিকভাবে বেশ প্রফুল্ল আছেন তিনি। কারণ, অনেক বছর পর সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর মেয়েদের সঙ্গে। নাতনি জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমান এখন তার সঙ্গে।
কুরবানির প্রস্তুতি নিয়েছেন খালেদা জিয়া। কুরবানি দেওয়ার জন্য একটি গরু ও দুটি খাসি কেনা হয়েছে। ঈদের দিন পশুগুলো জবাইয়ের পর ঢাকার কয়েকটি এতিমখানায় মাংস পাঠিয়ে দেওয়া হবে। একটি অংশ বিএনপি অফিসের স্টাফরা নেবেন।
খাসির মাংসের কিছু অংশ খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় বাবুর্চিরা রান্না করবেন। সেই খাবারের অংশবিশেষ খালেদা জিয়া খেতে পারেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার গণমাধ্যমকে বলেন, ম্যাডাম এবার একটি গরু ও দুটি খাসি কুরবানি দিচ্ছেন। কোরবানির পশু জবাই হওয়ার পর মাংসের কিছু অংশ তার বাসভবনে স্টাফদের জন্য রেখে বাকিটা কয়েকটি এতিমখানা ও গরিবদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, শারীরিক অসুস্থতার জন্য ম্যাডাম মাংস খেতে পারেন না। তিনি খুব সাধারণ খাবার খান। এবার তো এমনিতেই অসুস্থ। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী উনার খাবার রান্না হয়।
এদিকে সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পাওয়ার পর প্রতি ঈদে সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। এবারের ঈদেও দলীয় নেতারা দেখা করতে যাবেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।