চল্লিশ ভরি স্বর্ণ ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতার ভাঙ্গা থানার সেই সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) বাবুল হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিম রেজা।

এছাড়া মামলার আসামি এএসআই বাবুলসহ দুইজনের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক গোলাম মুনতাসির মারুফ।

এ বিষয়ে ভাঙ্গা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফাহিমা কাদের চৌধুরী বলেন, এএসআই বাবুলের নামে ভাঙ্গা থানায় স্বর্ণ ছিনতাইয়ের মামলা হয়েছে। তাকে এক সহযোগীসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা নিজস্ব গতিতে চলবে। এছাড়া এএসআই বাবুলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।

উল্লেখ্য, এক ব্যবসায়ীর ৪০ ভরি স্বর্ণ ছিনতাইয়ের অভিযোগে ভাঙ্গা থানা পুলিশের এএসআই বাবুল হোসেন ও তার সহযোগী ভাঙ্গা পৌরসভার হোগলাডাঙ্গি সদরদী মহল্লার বাসিন্দা মেহেদী হাসান গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়া পুলিশ ছিনতাই হওয়া স্বর্ণও উদ্ধার করেছে।

গ্রেফতার হওয়া এই দু’জনের বিরুদ্ধে বুধবার ভাঙ্গা থানায় মামলা করেন নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার স্বর্ণ ব্যবসায়ী পাপ্পু বিশ্বাস। পুলিশ মামলার পরই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেন। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী এএসআই বাবুল হোসেন (৩৫) এর ভাঙ্গা পৌরসভার কাপুড়িয়া সদরদী মহল্লার বাসা থেকে ছিনতাই হওয়া স্বর্ণ উদ্ধার করে পুলিশ।

মামলা সূত্রে জানা যায়, নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার কামঠানা গ্রামের অজিৎ বিশ্বাসের ছেলে পাপ্পু বিশ্বাসের যশোর জেলা শহরে স্বর্ণের দোকান রয়েছে। গত ৭ জুলাই রাতে ভাঙ্গা বাজারের ‘সোনার তরী জুয়েলার্সের’ স্বত্বাধিকারী পলাশ বণিকসহ কয়েক ব্যবসায়ীর নিকট থেকে ১১০ ভরি স্বর্ণ কেনেন পাপ্পু বিশ্বাস। সেগুলো নিয়ে যাওয়ার পথে ভাঙ্গা বাজারেই তার গতিরোধ করেন ভাঙ্গা থানার এএসআই বাবুল হোসেন ও তার সহযোগী মেহেদী হাসান।

এ সময় পুলিশ সদস্য পাপ্পুর নিকট থাকা স্বর্ণ অবৈধ বলে ছিনিয়ে নেয়। পাপ্পু তার ব্যবসায়িক কাগজপত্র দেখালেও ৪০ ভরি স্বর্ণ রেখে বাকি স্বর্ণ তাকে ফেরত দেয়। বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য হুমকিও দেন এএসআই বাবুল।

এরপর পাপ্পু বিশ্বাস ভাঙ্গা থানায় বুধবার মামলা করেন। মামলায় এএসআই বাবুল ও তার সহযোগীকে আসামি করা হয়।