সিলেটে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার ‘তরিকা’ নিয়ে মতবিনিময় করেছে বিএনপি। বিএনপির মিডিয়া সেল আয়োজিত এই মতবিনিময় সভায় দলটির অঙ্গসংগঠন ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত মতবিনিময় সভার শিরোনাম ছিল ‘জবাবদিহীতামুলক রাষ্ট্র গঠনে অবাধ, নিরপেক্ষ, নির্বাচনোত্তর একটি জাতীয় সরকার এবং দ্বিকক্ষ সংসদ অপরিহার্য।

এতে বলা হয়, বিদ্যমান সংসদীয় ব্যবস্থার পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ, জ্ঞানের সমন্বয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার লক্ষ্যে দেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, পেশাজীবি, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী ও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ ব্যক্তিদের নিয়ে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা এখন সময়ের দাবি। পৃথিবীর উন্নত ও অনুসরণযোগ্য অধিকাংশ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রেই দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার প্রচলন রয়েছে।

আরোও পড়ুন: খুলনাসহ ১০ জেলায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস

যেভাবে ফেসবুক পোস্টের তথ্য পরিবর্তন করবেন

অক্ষয়ের জন্মদিনে গোপন তথ্য ফাঁস করলেন টুইঙ্কল

দলের বাইরের বক্তারা এমন প্রস্তাবের পর্যালোচনায় বলেন, এক ক্ষই যেখানে যথাযথভাবে কার্যকর করা যাচ্ছেনা, সেখানে দ্বিকক্ষের ‘তরিকা’ কতটুকু কার্যকর বা সুফল বয়ে আনবে এনিয়ে সংশয় রয়েছে।

বিএনপির মিডিয়া সেলের আহবায়ক ও সাবেক এমপি জহির উদ্দিন স্বপনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আক্তারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এনি।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা এমপি বলেন, একজন রাজনীতিবিদ নির্বাচন নিয়ে চিন্তা করেন আর একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক চিন্তা করেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী ১০০ বছর পর দেশকে কোথায় নিয়ে যাবেন সেই চিন্তা করছেন। কিন্তু তারেক রহমানের দুর্ভাগ্য যে, আওয়ামী লীগের মত একটিফ্যাসিস্ট সরকারকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে হয়েছে, এটা বিশ্ব স্বীকৃত। ক্ষমতা লোভী সরকার দেশকে অকার্যকর অবস্থায় নিয়ে গেছে। বাক স্বাধীনতার জন্য আইসিটি আইন এখন একটি বড় বাধা। সাংবাদিকদের দমনের আইসিটি আইনের যে বিতর্কিত ৫৭ ধারাটি করা হয়েছে দেশে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ চালু থাকলে তা করা সম্ভব হত না। কুইক রেন্টালকে বৈধতা দিয়ে লুটপাটকে বৈধতা দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পিপি এডভোকেট এমদাদ উল্লাহ মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম শাহীন বলেন, দেশের সংবিধানে এক কেন্দ্রিক ব্যবস্থা রেখেই দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ ব্যবস্থা চাওয়া হচ্ছে! ভারসাম্য রক্ষার জন্য বাংলাদেশের সংবিধান এখন পর্যন্ত ১৭ বার সংশোধন হল। সংবিধানে সুপ্রিম কোর্টের বিচার ব্যবস্থাকে স্বাধীন করে দেয়া হল। কিন্তু আজকে বিচার বিভাগ কোন অবস্থায় আছে? নির্বাচন কমিশন, মানবাধিকার কমিশন কোন কিছুই প্রপার কাজ করছে না। ক্ষমতা হস্তান্তর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য এটাই প্রধান জাতীয় সংকট। তিনি বলেন, ভারতে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ ব্যবস্থা চালু করলেও তারাও তা পুরোপুরি কার্যকর করতে পারেনি।