দেশে জুয়েলারি ব্যবসায়ী এবং সাধারণ ক্রেতাদের স্বর্ণ কেনাবেচার ক্ষেত্রে বেশকিছু নিয়ম বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
স্বর্ণ ক্রয়ে ব্যবসায়ীরা যা করবেন
বিক্রেতার জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি থেকে নিজ দায়িত্বে উভয় পাশের ফটোকপি রাখতে হবে।
বিক্রেতার বিক্রয় করা স্বর্ণালংকারের উৎস সম্পর্কে জানতে হবে।
বিক্রেতার স্বর্ণালংকারের ক্রয় রশিদের কপি থাকতে হবে।
মূল মালিক ছাড়া কোনো প্রতিনিধির কাছ থেকে অলংকার ক্রয় করা যাবে না।
পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ট্যাক্স পে (পিওর গোল্ড ক্রয়ের ক্ষেত্রে) একই নাম, ঠিকানা আছে কিনা, তা যাচাই করে নিতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, একজন যাত্রী বিদেশ থেকে দেশে আগমনকালে ব্যাগেজ রুলের আওতায় পণ্য আনার যে সুবিধা পান তা তার ব্যক্তিগত বা পরিবারের সদস্যদের ব্যবহারের জন্য। তবে অর্থের প্রয়োজনে পণ্যটি বিক্রি করার ইচ্ছা পোষণ করলে উল্লেখিত তথ্যাদি বা ডকুমেন্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে ক্রয় করা যাবে। সব ক্ষেত্রে ক্রয় রশিদ প্রদান করতে হবে এবং বিক্রেতার সই যুক্ত ক্রয় রশিদের কপি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে তিন বছর সংরক্ষণ করতে হবে।
বাজুসের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, বিক্রেতা যদি এসব তথ্য দিতে না পারেন, তাহলে বুঝতে হবে সেটা অবৈধ স্বর্ণ। তাই এ ধরনের বিক্রেতার কাছ থেকে স্বর্ণ ক্রয় করা থেকে বিরত থাকতে হবে। বার বার সতর্ক করার পরও কোনো জুয়েলারি ব্যবসায়ী যদি অবৈধ স্বর্ণ ক্রয় করে আইনি ঝামেলার সম্মুখীন হন, তাহলে বাজুস তাকে কোনো সহযোগিতা করবে না।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।