যশোর শহরতলীর চাঁচড়ার বর্মনপাড়ার একটি খাল থেকে রনি (২৪) নামে এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় চাঁচড়া ফাঁড়ি পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। রনিকে কুপিয়ে হত্যার পর খালে লাশ ফেলে দেয়া হয় বলে পুলিশ ধারণা করছে।
নিহত রনি চাঁচড়ার গোলদারপাড়া আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকার বাবুর ছেলে। রনি হত্যার সাথে জড়িত অভিযোগে পুলিশ রকি নামে এক যুবককে আটক করে। তবে পুলিশ আটকের কথা স্বীকার করেনি।
চাঁচড়া ফাঁড়ির আইসি ইন্সপেক্টর আকিকুল ইসলাম জানান, রনি পেশায় একজন মাছের ঘের শ্রমিক। তিনি ওই এলাকার ইমরোজ হত্যা মামলার আসামি। শনিবার সন্ধ্যায় রনি নিখোঁজ হয়। রনির পিতা বাবু জানান, শনিবার সন্ধ্যায় পর রনিকে বাড়ি থেকে রকি নামে তার এক বন্ধু ডেকে নিয়ে যায়। এলাকার অনেকেই দেখে রনিকে বাড়ি থেকে রকি ডেকে নিয়ে যাচ্ছে। এরপর সে আর বাড়ি ফেরেনি। রনি নিখোঁজের পর এলাকাবাসী রকিকে ধরে গণপিটুনি দিলে সে রনির সন্ধ্যান দেয়। রনি নিখোঁজের পর থেকে পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। তারা রনিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এরপর এলাকাবাসী রকিকে ধরে গণপিটুনি দেয়ার পর রনির সন্ধান মেলে। পুলিশ রকির দেয়া তথ্য অনুযায়ী রনির লাশ উদ্ধার করে। রোববার সন্ধ্যায় চাঁচড়া বর্মনপাড়া দক্ষিণপাড়া শ্মশানের খাল থেকে রনির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আকিকুল ইসলাম বলেন, লাশের গলা, মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতে চিহ্ন পাওয়া গেছে। রনি চাঁচড়া এলাকার ইমরোজ হত্যা মামলার আসামি।
নিহত রনির বড় ভাই ফিরোজ জানান, নুরু মহুরি ও তার ছেলে মদ খেয়ে রনিকে কুপিয়ে হত্যা করে খালে ফেলে দেয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।