যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, কিউবার মিসাইল সংকটের পর এ ধরনের সবচেয়ে বড় হুমকি তৈরি করেছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করার হুশিয়ারি।
পুতিন ওই পথে যাবেন কিনা, ওয়াশিংটন তা ‘বোঝার চেষ্টা করছে’ বলে জানিয়েছেন তিনি। খবর রয়টার্সের।
১৯৬২ সালে কিউবায় সোভিয়েত মিসাইলের উপস্থিতি নিয়ে প্রেসিডেন্ট জনএফ কেনেডির নেতৃত্বাধীন যুক্তরাষ্ট্র ও নিকিতা ক্রুশ্চেভের নেতৃত্বাধীন সোভিয়েত ইউনিয়ন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের কাছাকাছি চলে গিয়েছিল। এ পরিস্থিতিই কিউবার মিসাইল সংকট হিসেবে পরিচিত।
হোয়াইট হাউস বারবার বলে আসছে, পুতিন ‘পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারের হুমকি’ দেওয়া সত্ত্বেও রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন কোনো ইঙ্গিত তারা পারনি।
কিন্তু বৃহস্পতিবার বাইডেন পরিষ্কার করেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী সাফল্য পেতে থাকায় পুতিন কী প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারেন তা বোঝার চেষ্টা করছেন ও তার ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন তিনি।
নিউইয়র্কে ডেমোক্রেটিক পার্টির দাতাদের এক সমাবেশে বাইডেন বলেন, কিউবার মিসাইল সংকটের পর এই প্রথম আমরা পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সরাসরি হুমকি পেয়েছি।
বাইডেন জানান, তিনি ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এ পরিস্থিতি থেকে বের হতে একটি কূটনৈতিক পথের সন্ধান করছেন।
বাইডেন বলেন, পুতিন কীভাবে এখান থেকে বের হতে পারেন তা বের করার চেষ্টা করছি আমরা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।