অতনু চৌধুরী (রাজু),বাগেরহাট: বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী নোভেল করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে থমকে গেছে গোটা বিশ্ব। দেশের এই ক্রান্তি কালে মোংলাকে আগলে রেখেছেন, মোংলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জনাব কমলেশ মজুমদার, মোংলা উপজেলা সহকারি কমিশনার ( ভূমি) নয়ন কুমার রাজবংশী, মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ, জনাব ইকবাল বাহার চৌধুরী। মোংলার ঢাল হিসেবে দিনরাত পরিশ্রম করে, জনসাধারণের মুখে – মুখে প্রশংসায় ভাসছেন সরকারি এই ৩ কর্মকর্তারা।
করোনা পরিস্থিতিতে সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রেখেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব কমলেশ মজুমদার।
প্রতিনিয়ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের সাথে মতবিনিময় সভা করা, সরকারি তথ্য জনসাধারণকে জানানো, সরকারি সহায়তার সুষম বন্টন, কি মাঠ আর কি ঘাট স্বাস্থ্য সচেতনতায় দিনরাত নেই তার।
অন্য দিকে বসে নেই সহকারি কমিশনার (ভূমি) নয়ন কুমার রাজবংশী। দিনরাত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে – শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছেন নয়ন কুমার রাজবংশী। মোংলাবাসীকে নিরাপদ রাখতে যা যা করার দরকার তিনি সব কিছু পালন করেছেন সচেতনতার সাথে। করোনার প্রথম ঢেউ রুখতে তিনিই প্রথম এবং একমাত্র সরকারি কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হন।
মানবতার আরেক নাম জনতার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী।জ
লকডাউনে মোংলায় কঠোর অবস্থানে আছেন তিনি। রাতদিন মোংলাবাসীর জন্য পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ব্যাক্তি উদ্যোগে অসহায়দের খাদ্য সহায়তা ও দিয়েছেন।
ওসি সহ মোংলা থানা পুলিশের সদস্যরা গত বছর ঈদে নতুন পোশাক না কিনে এতিমদের সহায়তা করেছিলেন। ফেসশিল্ড উৎপাদন, হাত ধোয়া বেসিং স্থাপনা’সহ নানা সেবামূলক, প্রচারণা মূলক কাজ করেছেন ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী।
করোনা মহামারীর এই দুর্দিনে তাদের পাশে পেয়ে খুশি মোংলাবাসী। তাদের কর্মকান্ড গুলোই মানবতার কাতারে তাদের পৌঁছে দিয়েছেন। মোংলাবাসী তাদের পেয়ে ধন্য।
সাংবাদিক অতনু চৌধুরী (রাজু),
মোংলা, বাগেরহাট
মোবাঃ ০১৯৪৯৬৫৩৬৪৩।।।।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।