জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ‘দ্য স্টেট অব ওয়ার্ল্ড ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকুয়াকালচার–২০২২’ বৈশ্বিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে স্বাদুপানির মাছ উৎপাদনে এবারও বাংলাদেশ তৃতীয় স্থান ধরে রেখেছে।

গতকাল সোমবার (২১ নভেম্বর) বিশ্বের সব দেশের ২০২০ সালে উৎপাদিত মাছের হিসাব নিয়ে তৈরি প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৮০ সালে বাংলাদেশে স্বাদুপানির মাছের উৎপাদন ছিল ৪ লাখ ৪০ হাজার টন। ২০২০ সালে তা ১২ লাখ ৫০ হাজার টনে উন্নীত হয়েছে, যা বিশ্বের মোট মাছ উৎপাদনের ১১ শতাংশ। তালিকায় প্রথম স্থানে থাকা ভারতে ১৮ লাখ টন ও দ্বিতীয় স্থানে থাকা চীনে ১৪ লাখ ৬০ হাজার টন স্বাদুপানির মাছ উৎপাদিত হয়।

বাংলাদেশের পরে রয়েছে মিয়ানমার, উগান্ডা ও ইন্দোনেশিয়া। তবে সামুদ্রিক মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ ২৫টি দেশের মধ্যে ২৫তম অবস্থানে রয়েছে। সামুদ্রিক মাছ উৎপাদনে শীর্ষ তিনটি দেশ হচ্ছে চীন, ইন্দোনেশিয়া ও পেরু। প্রতিবেদনে বলা হয়, চাষের মাছ উৎপাদন বৃদ্ধির দিক থেকে আফ্রিকায় মিসর এবং এশিয়ায় বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম উদাহরণ হয়ে উঠেছে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আবদুল ওহাব বলেন, বাংলাদেশে স্বাদুপানির মাছ উৎপাদন বৃদ্ধিতে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি বড় ভূমিকা রেখেছে। ইলিশের জাটকা সংরক্ষণের কারণে পাঙাস, আইড়সহ নদীর অনেক ধরনের মাছের উৎপাদন বাড়ছে। তবে আমাদের মাছের উৎপাদন আরও বাড়াতে হলে সামুদ্রিক মাছের আহরণ বাড়ানোয় গুরুত্ব দিতে হবে।