নয়াপল্টনে নাশকতা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে হাইকোর্ট ৬ মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিলেও তা ঠেকাতে আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের সংশ্লিস্ট শাখায় এটি দাখিল করা হয়। আজকেই এর শুনানি হবে বলে জানা গেছে।
এর আগে মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সকালে জামিন শুনানি দুই সপ্তাহ পেছানোর আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। পরে দুপুরে শুনানি হবে বলে জানান বিচারপতি মো. সেলিমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। এরপর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তাদের ৬ মাসের জামিন দেন।
যদিও জামিন চেয়ে এর আগে বিচারিক আদালতে চারবার আবেদন করেছিলেন বিএনপির এই দুই নেতা। চারবারই তা খারিজ হয়ে যায়।
উল্লেখ্য গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে এক বিএনপি কর্মীর মৃত্যু হয়। আহত হন অনেকে। এসময় বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে চাল-ডাল, পানি, নগদ টাকা ও বিস্ফোরক দ্রব্য পাওয়া যায় বলে দাবি করে পুলিশ।
পরদিন ৮ ডিসেম্বর রাতে নিজ নিজ বাসা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে জিজ্ঞসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয় নিয়ে আসে। পরদিন ৯ ডিসেম্বর পুলিশ তাদের পল্টন কার্যালয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় আটক দেখিয়ে আদালতে হাজির করে।
এসময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত গ্রেপ্তার বিএনপি নেতাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তারপর থেকে কারাগারে রয়েছেন এ দুই নেতা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।