কবিতাঃ না বেঁচে নেই
শুভ দ্বীপ

না বেঁচে নেই,
ঝোড়ো পাতার ন্যায় বেঁচে নেই।
না বেঁচে নেই,
লকডাউনে বের হতে না পারায় বেঁচে নেই।
না বেঁচে নেই,
রিকশা চালকের মতো লকডাউনে না খেতে পেরে, বেঁচে নেই।
না বেঁচে নেই!
অক্সিজেন সাপ্লাই না পেরে এম্বুলেন্স এর মায়ের মৃত্যুর দৃশ্য দেখা ছেলেটির ন্যায় বেঁচে নেই।
না বেঁচে নেই!
মধ্যবিত্তের খাবারের অনিশ্চিত গতিবিধি নিয়ে বেঁচে নেই।
না বেঁচে নেই!
পতিতাবৃত্তি করা পতিতা-দের খাবারের অনিশ্চিত খবরে এই ভরা লকডাউনে বেঁচে নেই।
না বেঁচে নেই!
স্টেশনে হাহাকার করা সেই ছেলেটার জন্য বেঁচে নেই।
না বেঁচে নেই!
ওষুধহীন, টাকার অভাবে মৃত্যুর আহাজারি করা মানুষের মতো বেঁচে নেই।
না বেঁচে নেই!
করোনায় চাকুরী হারা বেকার মানুষের মতো বেঁচে নেই।
না বেঁচে নেই!
অপেক্ষায় থাকা প্রেমিকার বিয়ের রাত্রির প্রেমিকের অনুভূতির মতোই বেঁচে নেই।
সত্যিই বেঁচে নেই, এই অবরুদ্ধ জীবনে বেঁচে নেই।।

 

পূর্বপাড়া, গাইবান্ধা।
১৩ই এপ্রিল ২০২১ খৃষ্টাব্দ!!