নিরেন দাস,জয়পুুরহাট প্রতিনিধি: জয়পুরহাটে চায়ের সাথে চেতনা নাশক ঔষধ মিশে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ভাই-বোনসহ ৪জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (৭ জানুয়ারি) বিকেল ৪ টার দিকে শহরের নতুনহাট এলাকায় একটি খাবার দোকান থেকে তাঁদের আটক করা হয়। এব্যাপারে শাহ আলম নামে নারায়নগঞ্জের একজন গরু ব্যবসায়ী বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

আটককৃতরা হলেন,জয়পুরহাট সদর উপজেলার ভাদশা ফরিদপুর গ্রামের মৃত. ইছাহাক আলীর ছেলে বাবু মিয়া (৪৫), শহরের নতুনহাট শেখপাড়ার মোহাম্মদ সালামের ছেলে মামুন হোসেন (৩৫), একই উপজেলার ভাদশা ফরিদপুর গ্রামের মৃত ইছাহাক আলীর মেয়ে ও মৃত রেজাউল করিমের স্ত্রী লাকী বেগম (৫০) এবং জামালপুর ইউনিয়নের চক দাদড়া গ্রামের আতিয়ার রহমানের স্ত্রী পলি আক্তার (২১)। এদের মধ্যে লাকী বেগম ও বাবু মিয়া সম্পর্কে ভাই-বোন। তারা সবাই নতুনহাট শেখপাড়ায় বসবাস করেন ও খাবার দোকানের সম্পর্কিত রয়েছে।

থানার মামলা সুত্রে জানা গেছে,গত শনিবার শহরের নতুনহাটে গরু কেনার উদ্দেশ্যে আসেন নারায়গঞ্জের ব্যবসায়ী শাহ আলম। সকাল ৬ টার দিকে আতিয়ার হোসেনের খাবার দোকানে বসে নাস্তা করেন তিনি। নাস্তা শেষে চা খাওয়ার জন্য ওই হোটেলের কর্মচারী বাবু মিয়াকে চা আনতে বললেন ওই গরু ব্যবসায়ী। কিন্তু ওই ব্যবসায়ীকে মামুনের চা দোকানে নিয়ে যায় ওই চক্রের সদস্য বাবু মিয়া, লাকী বেগম ও পলি আক্তার। ওই ব্যবসায়ীর নিকটে পাঁচ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে আবার আতিয়ার হোসেনের খাবারের দোকানে ফিরে আসে। ওই দোকানে চায়ের সাথে চেতনা নাশক ঔষক মিশে ওই ব্যবসায়ীকে খাওয়ায় চক্রের সদস্যরা। চা খাওয়ার পরে অসুস্থ হয়ে যায় ওই ব্যবসায়ী। জাকারিয়া মাসুদ নামে অন্য ব্যবসায়ীর নিকটে পাঁচ লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা জমা দেন ওই ব্যবসায়ী। বেশি অসুস্থ হয়ে গেলে কয়েকজন ব্যবসায়ীরা উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করান। ওই ব্যবসায়ী সুস্থ হয়ে জয়পুরহাট থানায় ওই চক্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

জয়পুরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চায়ের সাথে চেতনা নাশক ঔষধ মিশে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে শহরের নতুনহাট থেকে ভাই-বোনসহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। সন্ধ্যায় তাদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে সোপর্দ করা হয়েছে।