প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের অপেক্ষায় কোটালীপাড়া উপজেলার শহিদ মোক্তার হোসেন দাড়িয়া মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর। ইতোমধ্যে জাদুঘরটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী শনিবার প্রধানমন্ত্রী উপজেলার হিরণ ইউনিয়নের আশুতিয়া গ্রামে নির্মিত এই জাদুঘরটি উদ্বোধন করবেন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে শহিদ মোক্তার হোসেন দাড়িয়া মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘরটি নির্মাণ করা হয়েছে বলে উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

এছাড়া একই দিনে প্রধানমন্ত্রী উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে নির্মিত ২৮টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও দুটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোক্তার হোসেন দাড়িয়া হেমায়েত বাহিনীর একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। এই বাহিনীতে থাকাকালে সময়ে তিনি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেন বলে জানিয়েছেন তার সন্তান ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা মফিদুল ইসলাম টুটুল।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা স্বাধীন হই। তার আগেই ৩ ডিসেম্বর উপজেলা হানাদার বাহিনী মুক্ত হয়। এরপর ৭ ডিসেম্বর আমার বাবা শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোক্তার হোসেন দাড়িয়া তার কর্মস্থল খুলনায় চলে যান। ১৩ ডিসেম্বর খুলনার রুপসা নদীর পাড় থেকে হানাদার বাহিনীর সদস্যরা আমার বাবাকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও বাবাকে খুঁজে পাইনি। আমার ধারণা হানাদার বাহিনী বাবাকে ধরে নিয়ে গিয়ে খুলনার গল্লামারিতে মেরে ফেলেছে। ’

আশুতিয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আকবর আলী বলেন, শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোক্তার হোসেন দাড়িয়ার নামে জাদুঘর নির্মাণ করায় আমরা আনন্দিত। এই জাদুঘরের মাধ্যমে আগামী প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে। তবে এই জাদুঘরে আসার জন্য যে সড়কটি আছে তা দীর্ঘদিন ধরে বিধ্বস্ত অবস্থায় পড়ে আছে। আমি গ্রামবাসীর পক্ষে থেকে এই সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।