এক মনোবিজ্ঞানী ক্লাসে ঢুকলেন। টেবিলে রাখা ছিল একটা গ্লাস আর এক জগ জল। তিনি জগ থেকে গ্লাসে জল ঢাললেন। তারপর গ্লাসটি একটু সামনের দিকে বাড়িয়ে ক্লাসের ছাত্র ছাত্রীদের জিজ্ঞেস করলেন এই জলের ওজন কতো?
ছাত্র ছাত্রীরা আন্দাজে বলতে থাকলো, ২০০ গ্রাম, ৩০০ গ্রাম ইত্যাদি। সমস্ত উত্তর শুনে নিয়ে শিক্ষক একটু থামলেন। তারপর বললেন গ্লাসের জলের ওজন কত, সেটা বড় কথা নয়। গ্লাসটি কতক্ষণ এই ভাবে ধরে থাকা হচ্ছে সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।
জলে ভর্তি একটা গ্লাস এই ভাবে(সামনের দিকে বাড়িয়ে) হয়তো মিনিট দুয়েক বা মিনিট পাঁচেক ধরে রাখা যায়।
কিন্তু ওই টুকু জল ভর্তি গ্লাস কি ১ ঘন্টা ধরে রাখা যাবে? হয়তো তাও যাবে, কিন্তু হাতে ব্যথা হতে শুরু করবে।
১০ – ১২ ঘন্টা ধরে রাখলে অসহ্য ব্যথা শুরু হবে। শুধু তাই নয় আপনার হাত অকেজো হয়ে পড়বে। প্যারালাইসিস হয়ে যেতেও পারে।
ধরুন, গ্লাসটি আপনার ব্রেইন। গ্লাসের মধ্যে জলটুকু আপনার জীবনের দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ।
কোনো ঘটনা ও তার দুশ্চিন্তা আপনি মিনিট কয়েক মাথায় রাখতে পারেন। ঘন্টা খানেক রাখলে আপনার মাথায় অতিরিক্ত চাপ তৈরী হবে। ১০ – ১২ ঘন্টা রাখলে হয়তো আপনার মাথা অকেজো হয়ে পড়বে। সুষ্ঠু ভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে। ভালো মন্দ বিচার করতে পারবে না।
তাই আপনাকে গ্লাসটি নামিয়ে রাখতে হবে। দুশ্চিন্তা-রাখ-দুঃখ-অভিমান এগুলো ধরে রাখলে হবে না। এসব নিয়ে এক আধটু ক্ষণের জন্যে মাথায় রাখা যায়।
দুশ্চিন্তা যতোই ছোটো হোক না কেন, তাকে বেশিক্ষণ ধরে রাখলে সেটি অনেক বেশি ক্ষতি করার ক্ষমতা রাখে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।