ভারতে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহভাবে বেড়েছে। একদিনে শনাক্ত ছাড়িয়েছে, ৪ লাখ। যা বিশ্বে নতুন রেকর্ড। প্রাণ হারিয়েছেন, সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষ। এমন সংকটকে পুঁজি করে অক্সিজেন আর রেমডিসিভির বিক্রি করছে কালোবাজারে।
স্বাভাবিক তুলনায় দাম হাঁকানো হচ্ছে ৫ থেকে ৩৬ গুণ পর্যন্ত। এদিকে গুজরাটে করোনা হাসপাতালে আগুনে প্রাণ গেছে ১৮ রোগীর।
সিমরান কর। করোনার ভয়াল থাবায় বাবাকে হারিয়ে অনেকটাই দিশাহারা। বলেন, ‘আমাদের দেশের ব্যর্থতার কারণে আজ আমি আমার বাবাকে হারিয়েছি। অনেকে আমার সাথে অক্সিজেন নিয়ে প্রতারণা করেছে। চিকিৎসা সেবার কোন কিছুই আমার বাবা সময়মতো পাননি।’
মানুষের এই অসহায়ত্বের সময়েও চলছে অক্সিজেন ও রেমডেসিভির ওষুধ নিয়ে কালোবাজারি। অভিযোগ, সরকারি কড়া নজরদারি এড়িয়ে চার-পাঁচ হাজার রুপির ছয়টি রেমডেসিভির ভায়ালের দাম হাঁকাচ্ছেন ২০ হাজার থেকে পৌনে দুই লাখ রুপি পর্যন্ত।
এবার একদিনে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে চার লাখ। কেবল এপ্রিলেই আক্রান্ত হয়েছেন ৬৯ লাখ মানুষ। একসপ্তাহ ধরে প্রতিদিন মারা যাচ্ছেন তিন হাজারের বেশি লোক। প্রিয় মানুষটিকে হারিয়ে শোক করবেন কি, তার সৎকারই এখন বড় দুশ্চিন্তা স্বজনদের। এমন সঙ্কটে মিলছে মানবিকতার গল্প।
ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে শুরু হয়েছে প্রাপ্ত বয়স্কদের করোনা টিকা প্রয়োগ। যদিও দিল্লি, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশেসহ অনেক রাজ্যই জানিয়েছে টিকা সংকটের কথা। তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দাবি, তাদের কাছে এখনও কোটি ডোজ টিকা রয়েছে।
সংক্রমণ রোধে পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়েছে আংশিক লকডাউন। বন্ধ আছে শপিংমল, সিনেমা হল, জিম ও রেস্টুরেন্ট।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।