মোঃ শেখ শহীদুল্লাহ্ আল আজাদ,
স্টাফ রিপোর্টারঃ খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা জেলা সহ উপকূলের জানমালের সুরক্ষায় অবিলম্বে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে স্থানীয়রা। শুক্রবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পাতাখালি পয়েন্টে ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধের ওপর এই অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় স্থানীয়রা ‘আমরা ভাসতে চাই না, বাঁচতে চাই’, ‘একবারই মরবো, বারবার নয়’, ‘জলবায়ু তহবিল কাদের জন্য? জবাব চাই’, ‘উপকূলের কান্না, শুনতে কি পান না’, ‘নিরাপদে বাঁচা, নয় কি আমার অধিকার’, ‘বাস্তুভিটা ছেড়ে, ভাসানচরে যাবো না’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে থাকে।
এ সময় প্রতীকী লাশ হয়ে প্রতিবাদ জানান উপকূলের বাসিন্দা মাসুম বিল্লাহ, ইয়াসির আরাফাত, সালাউদ্দিন, মাহি ও সালাউদ্দিন জাফরী। খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা জেলা সহ উপকূলের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ম্যানগ্রোভ স্টুডেন্ট সোসাইটি আয়োজিত এই অবস্থান কর্মসূচিতে সংগঠনের সভাপতি আরিফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শাহিন বিল্লাহ, তরিকুল ইসলাম, মুহতারাম বিল্লাহ, মুতাসিম বিল্লাহ, হাসানুল বান্না প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। উক্ত কর্মসূচি পালনের সময় বক্তারা বলেন, বিগত ১২ বছর ধরে উপকূলের মানুষ ভাসছে। প্রতিবারই এমন পরিস্থিতিতে কর্মকর্তারা শুধু আশ্বাসের বুলি আওড়ান। নানান ধরনের মেগা প্রকল্পের গল্প শোনান। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এখনো পর্যন্ত কোন কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। উপকূলের মানুষকে বাঁচাতে টেকসই বেড়িবাঁধের বিকল্প নেই। এ সময় বক্তারা আরও বলেন, টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে ব্যর্থ হলে সাতক্ষীরা উপকূলীয় অঞ্চলকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিন। আমরা বারবার নয়, একবারই মরতে চাই। এ দিকে সিডর, আইলা, ফনী, বুলবুল, আম্পান ও সবশেষে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্টি জলোচ্ছ্বাসে নদীর জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে শতাধিক গ্রাম। ভেসে গেছে হাজার হাজার হেক্টর জমির মৎস্য ঘের। বিধ্বস্ত হয়েছে হাজার হাজার ঘরবাড়ি। ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।