ভবিষ্যতে যুদ্ধজাহাজ রফতানি: প্রধানমন্ত্রী।

সুমনসেন চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি-

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভবিষ্যতে বাংলাদেশ যুদ্ধ জাহাজ রফতানি করবে বলে আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি।’

বাংলাদেশ ভবিষ্যতে যুদ্ধজাহাজ রফতানি করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কোস্টগার্ডের ৯টি জাহাজ ও ভোলা ঘাটির কমিশনিং অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে কোস্টগার্ডের চট্টগ্রামের পতেঙ্গা বেজে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কমিশনিংয়ে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে বাংলাদেশ যুদ্ধ জাহাজ রফতানি করবে বলে আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমি ক্ষমতায় এসে খুলনা ও নারায়ণগঞ্জ শিপইয়ার্ডকে নৌবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছিলাম। তারা এখন অন্যান্য জাহাজের সঙ্গে যুদ্ধজাহাজ তৈরি করছে। এতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে।’
ওই নয়টি জাহাজের মধ্যে চারটি ইতালি থেকে কেনা হয়েছে। বাকি পাঁচটি তৈরি করা হয় নৌবাহিনী পরিচালিত নারায়ণগঞ্জ ও খুলনা শিপইয়ার্ডে।

ইতালি থেকে কেনা চারটি টহল জাহাজ হলো বিসিজিএস সৈয়দ নজরুল, বিসিজিএস তাজউদ্দিন, বিসিজিএস মনসুর আলী ও বিসিজিএস কামারুজ্জামান।
দেশে তৈরি জাহাজগুলো হলো বিসিজিএস সবুজ বাংলা, বিসিজিএস শ্যামল বাংলা, বিসিজিএস সোনার বাংলা ও বিসিজিএস অপরাজেয় বাংলা।
বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোস্টগার্ডের জন্মের ইতিহাসও অনেক মজার। অনেকেই এ ইতিহাস জানেন না। আমরা তখন বিরোধী দলে। সাধারণত তখন আমরা জাতীয় সংসদে নানা প্রস্তাব নিয়ে আসি। আমরা বিরোধী দলে থাকায় এবং আমাদের আসন কম থাকায় সবই বাদ হয়ে যায়।
‘এমনই অবস্থায় আমরা উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড গঠনের প্রস্তাব জাতীয় সংসদে উত্থাপন করি।’
তখনকার ঘটনা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি তখন ক্ষমতায়। সংসদে আমাদের সদস্যের সংখ্যাও কম। তারপরও দেখলাম প্রস্তাবের পক্ষে অনেকেই সমর্থন দিচ্ছে। তবু বিএনপি যেহেতু ক্ষমতায় তারা এই প্রস্তাবকেও বাতিল করতে চাইল।
‘এবার আমি স্পিকারের কাছে ভোট চাইলাম। স্পিকার বাধ্য হলো ভোটে যেতে। আমরা সংসদে প্রস্তাবের পক্ষের সবাই দাঁড়িয়ে পড়লাম। একসময় ভোট গোনার পর দেশের ইতিহাসে প্রথম সংসদে বিরোধী দলের প্রস্তাব পাস হয়ে ইতিহাস গড়া হলো।’
কোস্টগার্ডের ইতিহাস নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সেই ১৯৯৪ সালে কোস্টগার্ডের পথচলা শুরু। সেখান থেকে এই কোস্টগার্ডের সৃষ্টি।
‘৯৬ সালে আমরা সরকারে আসার পরই ভূমি নির্দিষ্ট করে দেয়া, উপকূলীয় এলাকায় যেন চালু হয় ২০০৯ সালে, আরও ব্যাপক উন্নতি করে।’
প্রধানমন্ত্রী কোস্ট গার্ড সদস্যদের দেশপ্রেম, সততা ও ইমানের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। সে জন্য সরকার সবসময় পাশে থাকবে বলেও জানান তিনি।