মোঃ জয়নুল আবেদীন তুহিন মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি: পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মহিববুল্লাহ এবং এস আই সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগটি উঠেছে বরগুনার বেতাগী উপজেলার জলিশা বাজারের মুদী মনোহারী ব্যবসায়ী আবুল বাশার (৪২) এর মৃত্যু নিয়ে। আবুল বাশার গত ১১ সেপ্টেম্বর জলিশা বাজারে একটি আমড়া গাছে আমড়া পাড়তে উঠে।
অসাবধানতা বশত সেই গাছ থেকে পা পিছলে পড়ে গুরুতর আহত হয়। সাথে সাথে আশপাশের লোকজন এসে তাকে ওখান থেকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে মির্জাগঞ্জ থানা থেকে এস আই সাইফুল ইসলাম সঙ্গীও ফোর্স নিয়ে হাসপাতালে উপস্থিত হয়। পরে পুলিশ মৃত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়ার জন্য থানায় নিয়ে আসতে চাইলে,সেখানে পুলিশকে মৃত ব্যক্তির স্বজনরা লাশ নিতে বাঁধা সৃষ্টি করে।
এসময় পুলিশের সাথে মৃত ব্যক্তির স্বজনরা তুমুল বাকবিতন্ডায় জরিয়ে পরে। এতে হাসপাতালের ভিতর প্রচুর হট্টগোল সৃষ্টি হয়। এরই মধ্যে ওসি মহিববুল্লাহ ওখানে হাজির হয়ে মৃত ব্যক্তির স্বজনদের বুঝিয়ে শুনিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু তারা কিছুতেই শান্ত হচ্ছিল না। এমতাবস্থায় উদ্ধুদ্ধ পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ কৌশলের আশ্রয় নেন । মৃত ব্যক্তির স্বজনরা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন,পুলিশ লাশ ময়নাতদন্ত বিহীন হস্তান্তর করিতে টাকা দাবি করেছে। আর পুলিশ এও বলেছে টাকা না দিলে লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়া হস্তান্তর করিব না। মৃত ব্যক্তির ভাইর সাথে মুঠোফোনে আলাপ হলে তিনি জানান,এস আই সাইফুল ইসলাম আমাদের কাছে লাশ হস্তান্তরের জন্য টাকা দাবি করেছে। কোথায় বসে এ দাবিটি করেছে তা জানতে চাইলে তিনি জানান , মির্জাগঞ্জ হাসপাতালে বসে এ দাবিটি করেছে এবং সে সময় ওখানে অসংখ্য মানুষ জন উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় তার কাছে জানতে চাওয়া হয় যে ঘুষের টাকা জনতার সামনে কেমনে চাইলো, এটা তো গোপন ব্যাপার, এ কথার কোন সদুত্তর না দিয়ে মোবাইল কেটে দেন। মির্জাগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মহিববুল্লাহ বলেন,পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগটি করা হয়েছে তা সম্পুর্ন অসত্য। এ বিষয় বিভিন্ন সংবাদপত্রে সে সমস্ত খবর প্রচার হয়েছে তা অসঙ্গতিপূর্ণ ও আশাব্যঞ্জক। পুলিশ একজন মৃত ব্যক্তির লাশ নিয়ে টাকা দাবি করবেএটা কল্পনাবিমুখ,তাও আবার জনসম্মুখে শত মানুষের মধ্যে বসে! পুলিশ নিজের পকটের টাকা খরচ করে মৃত ব্যক্তির বাড়ীতে লাশ পৌঁছে দেওয়া সহ লাশ দাফনের জন্যও নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করার মত ভুঁড়ি ভুঁড়ি রেকর্ড আছে। পুলিশের বিরুদ্ধে এরকম ঘৃণিত অভিযোগ অনাকাঙ্ক্ষিত।
এগুলো মেনে নেওয়াটা খুবই কষ্টদায়ক।অফিসার ইনচার্জ এর ভালো কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে একটি মহল অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে আমাদের অনুসন্ধানে ও অভিজ্ঞ মহলের ধারণা। তিনি আরো বলেন,আমাদের পুলিশ লাশ ময়নাতদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়ার জন্য থানায় নিয়ে আসতে চাইছিলেন,কিন্তু মৃত ব্যক্তির স্বজনরা লাশ দেবেন না বলে পুলিশের উপর চড়াও হয়। তারা কিছুতেই পুলিশকে লাশ ময়নাতদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়ার জন্য লাশ দিতে রাজি হয়নি। আইনি নিয়মনীতি না মেনেই তারা জোর জবরদস্তি করে লাশ নিতে চেয়েছিলেন। আমরা পরে আইনি বিষয়গুলো চুড়ান্ত করে লাশ মৃত ব্যক্তির পরিবারের কাছে হস্তান্তর করি।