কেশবপুর পল্লীতে কুমড়া বড়ি তৈরীতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন নারীরা
এনামুল কবির সবুজ নিজস্ব প্রতিবেদনঃ
শীতকে বরণ করে কেশবপুর শহরে ও গ্রামে গ্রামে চলছে কালাই আর চাল কুমড়া দিয়ে বড়ি তৈরীর কাজ। বেশীর ভাগ মানুষ নিজেদের খাওয়ার জন্য তৈরী করছে বড়ি অন্যদিকে কয়েকশত পরিবার কুমড়া বড়ি তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করছে। দেখা যায়, গ্রামের প্রায় বাড়ির চালে ও মাচাই শোভা পাচ্ছে বড় বড় চাল কুমড়া। যা দিয়ে তৈরি হচ্ছে কুমড়া বড়ি। শীতের ভোরে উপজেলা শহর ও পাড়া-মহল্লার নারীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন বড়ি তৈরির কাজে। কেউ কাজ করছেন ঢেঁকি দিয়ে, কেউবা সাহায্য নিচ্ছেন শিলপাটার। আবার বেশিরভাগই অনেকে বৈদ্যুতিক মেশিনের মাধ্যমে। এক কথায় কুমড়া বড়ি তৈরীর ধুম পড়েছে পাড়ায় পাড়ায়। বড়ি তৈরির উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত কালাইয়ের ডালের সঙ্গে চাল কুমড়ার পরিবর্তে অনেকে মূলা মানকচু অথবা পেঁপে ব্যবহার করে থাকেন। শীত এলেই গ্রামাঞ্চলের লোকজন বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। পাড়ার অনেক পরিবার একত্রিত হয়ে বড়ি বানাই।
বড়ি ছাড়া তরকারী রান্না অপূর্ণ থেকে যায়, বড়ি প্রতিটি তরকারিতে বাড়তি স্বাদ এনে দেয়। বড়ি ভেঙে পেঁয়াজ, রসুন ও কাঁচা মরিচ দিয়ে ভাঁজি করলে এক চমৎকার খাবার তৈরি হয়। এছাড়া, বড়ি দিয়ে রান্না করা বেগুন, লাউ, ফুলকপি, আলুর তরকারির স্বাদই আলাদা। প্রতিবছর শীত এলে সকাল থেকেই পাড়া-মহল্লার নারীরা বাড়ির ছাদে একত্রে দল বেঁধে ,আবার কেউ কেই মাটিতে মাদুর বিছিয়ে বড়ি তৈরীর কাজ করে থাকে। মূলত শীতের মৌসুমে কুমড়া বড়ির বাজার ধরতে আশ্বিন, কার্তিক, অগ্রহায়ণ এই তিন মাস কুমড়া বড়ি তৈরি করা হয়ে থাকে ২-৩ দিন কড়া রোদে শুকিয়ে প্রস্তত করা হয় সুস্বাদু বড়ি। গাড়াখোলা চরের মেশিনে বড়ি তৈরীর কাজ করা হয়ে থাকে। প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে ১১টা পর্যন্ত কাজ করা বাবদ ৬০-৭০ টাকা করে মালিকের কাছ থেকে পাই। বর্তমানে এ অঞ্চলের হাট বাজারে প্রতি কেজি কুমড়া বড়ি ১৩০-১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অনেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কিনে নিয়ে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেন। ডাল ও মসলার দাম বেড়ে যাওয়ায় কুমড়া বড়ি তৈরিতে খরচ বেশি পড়ছে। ফলে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।