নড়াইলের লোহাগড়া থানার সামনে পৌরসভা অফিসের নিচে অবস্থিত কাজী ফার্মস কিচেন এর খাবার খেয়ে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র আব্দুল্লাহ ৯/এর মৃত্যু হয়েছে।

নিহত আব্দুল্লার পরিবার সূত্রে জানা যায়, আব্দুল্লাহ লক্ষীপাশা আর, এল পাশা বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র, ৩ অক্টোবর রবিবার সকালে সে বাড়ি থেকে স্কুলে যাই, এরপরে ১২ টার দিকে খবর পাই,আব্দুল্লাহ অসুস্থ এই খবরে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায়, সেখানে গিয়ে জানতে পারি আব্দুল্লাহ মারা গেছে।

আব্দুল্লার বাবা জুনায়েদ কেঁদে কেঁদে বলেন আমার ছেলে কে খাবারের সাথে কিছু খাওয়ানো হয়েছে, এর কারণে সে মারা গেছে, ওই কাজী ফার্মস চিকেন এর খাবার খেয়ে আমার আবদুল্লাহ মারা গেছে।

এ-সময় তিনি আরও বলেন আমার ছেলের গলার ভিতর থেকে এক টুকরা মাংস বের করা হয়েছে। তখন তিনি লাশের পাশে বসে বলেন দেখেন আপনারা আমার ছেলেটার নাক, নিয়ে কি ভাবে ওই খাবার ও পানি বের হচ্ছে।

লোহাগড়া পৌরসভার ৭নং লক্ষীপাশা ওয়ার্ডের মোঃ জুনায়েদ খন্দকারের ছেলে আব্দুল্লাহ,

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে আব্দুল্লাহ কে কাজী ফার্মস কিচেন এর কর্মরত মিল্টন ডেকে নিয়ে ২টা চিকেন ললি, ও ১টা বার্গার খেতে দেয়, ওই খাবার খাওয়ার মাঝে হঠাৎ করে আব্দুল্লাহ অসুস্থ হয়ে পড়ে, তখন মিল্টন তাকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

 

লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাঃ বিপাশা মোশারফ তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এবং বলেন হাসপাতালে আনার আগে তার মৃত্যু হয়েছে।

এঘটনায় কাজী ফার্মস চিকেন এর মালিক সোহাগ কাজীর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন আমি দোকানে ছিলাম না, খবর শুনেছি ম্যানেজার মিল্টন এর থেকে, এই ঘটনার পরে কাজী ফার্মস চিকেন বন্ধ করে সবাই চলে যায়,

এবিষয়ে কাজী সোহাগের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন দোকান বন্ধ করে এমনিতে রাখা হয়েছে, এবং নিহতের বাড়ির লোকের সাথে মিল্টন ওখানে আছেন।

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শেখ আবু হেনা মিলন মুঠোফোনে জানান ঘটনাটি জানতে পেরেছি, কোন অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আব্দুল্লার এই অকাল মৃত্যুতে পরিবার সহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।