পিএসজিতে লিওনেল মেসিকে খুব একটা স্বচ্ছন্দ্য মনে হচ্ছে না থিয়েরি অঁরির। ১৯৯৮ বিশ্বকাপ জয়ী এই ফরাসি ফরোয়ার্ডের চোখে, নতুন ঠিকানায় এসে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড যেন কিছুটা নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েছেন। আক্রমণভাগের তিন তারকাকে নিয়েও রোববার মার্সেইয়ের বিপক্ষে জিততে পারেনি পিএসজি। মেসি, নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপের কেউই পারেননি ব্যবধান গড়ে দিতে। লিগ ওয়ানের ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র করে মাউরিসিও পচেত্তিনোর দল।
২০০৭ থেকে ২০১০ পর্যন্ত বার্সেলোনায় একসঙ্গে খেলেন মেসি ও অঁরি। প্রাইম ভিডিওর সঙ্গে আলাপচারিতায় পিএসজিতে সাবেক সতীর্থের অবস্থা নিয়ে ওই মন্তব্য করেন অঁরি। বার্সেলোনা ছেড়ে প্যারিসে এসে ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলার একাকী বোধ করছেন বলে মনে হচ্ছে তার। “আমি তাকে নিঃসঙ্গ দেখছি। মাঠে মেসি যেন একা হয়ে পড়েছে এবং খুব বেশি বলের সংস্পর্শেও থাকছে না সে। আমি বলব না, এখানে সে দুঃখী কিন্তু তাকে নিঃসঙ্গ মনে হচ্ছে।”
সেন্টার থেকে সরিয়ে মেসিকে ডানে খেলানোর কৌশল নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অঁরি। আর্সেনালের সাবেক ফরোয়ার্ড মনে করেন, আক্রমণভাগের মাঝামাঝি থাকলেই ছন্দে ফিরবেন মেসি। বার্সেলোনায় যখন সতীর্থ ছিলেন মেসি ও থিয়েরি অঁরি। ছবি: টুইটারবার্সেলোনায় যখন সতীর্থ ছিলেন মেসি ও থিয়েরি অঁরি। সেন্টার পজিশনেই তাকে আমি দেখতে চাইব। আমি মনে করি না, ডান দিকে খেলে সে পার্থক্য গড়ে দিতে পারবে।
সে কিছুটা খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, সেন্টারে ফেরাটা তাকে ছন্দ এনে দেবে।” “একটা পথ বের করতে হবে, যাতে করে তারা (মেসি, নেইমার ও এমবাপে) একসঙ্গে খেলতে পারে। ট্যাকটিক্যাল পর্যায়ে ঠিকঠাক তথ্য-উপাত্ত আমার কাছে নেই, কিন্তু আমি মনে করি, মাঠে এর প্রভাব থাকে কমই।” বরাবরই মিতভাষী মেসি। অঁরির কথাতেও উঠে এলো তা। সেই সঙ্গে এত তারকা নিয়েও পিএসজি কেন তেমন জ্বলে উঠতে পারছে না, এর কারণও নিজের মতো করে ব্যাখ্যা করলেন তিনি। তার মতে, পিএসজির স্কোয়াডে ‘চালকের’ সংখ্যা অনেক বেশি আর এটাই কারণ। “মেসি খুব বেশি কথা বলে না। সে কাজটা করে বল পায়ে। এ মুহূর্তে দলটা কিলিয়ানের, তার হাত ধরেই উজ্জ্বলতা ছড়াচ্ছে পিএসজি। বল কিলিয়ানকেই বেশি খুঁজে নেয়।
” “যে কোনো দলেই যদি একজনের চেয়ে বেশি ‘চালক’ থাকে, তাহলে সেই দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে খেলতে পারে না। এই দলে অনেক চালক। তারা একই গতিতে খেলতে পারছে না।” পিএসজির কোচ পচেত্তিনোও মাঝে কয়েক দফায় ঠিক এই কথাটাই বলেছিলেন। দলে একগাদা তারকা থাকলেও সাফল্য পেতে তাদের একটা দল হয়ে উঠতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।