জেমস আব্দুর রহিম রানা, যশোর :
যশোরের খোলাডাঙ্গার চাঞ্চল্যকর শিশু কথা আফরিন তৃষা ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দুই আসামিই খালাস পেয়েছেন। সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১ এর বিচারক টিএম মুসা এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্র্যাইবুনাল- ১এর পিপি সেতারা খাতুন। খালাস প্রাপ্তরা হলেন, ওই এলাকার মৃত আউয়ালের ছেলে সাইফুল ইসলাম ও কামরুল গাজীর ছেলে মেহেদী ওরফে শক্তি গাজী। এ ছাড়াও এ মামলার আরেক অভিযুক্ত মাদক ব্যবসায়ী শামীম গতবছরের ৬ মার্চ ক্রস ফায়ারে নিহন হন। এদিকে, মামলার রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী নিহতের পিতা তরিকুল ইসলাম। তিনি জানিয়েছেন রায়ের বিপক্ষে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। ২০১৯ সালের ৩ মার্চ বিকেলে খেলা করতে গিয়ে নিখোঁজ হয় শিশু শিক্ষার্থী কথা আফরিন তিশা। এর পরদিন ৪ মার্চ সন্ধ্যার দিকে বাড়ির পাশে গর্ত দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। গর্ত খুঁড়ে তিশার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে নিহত তিশার পিতা শহরতলীর খোলাডাঙ্গা গ্রামের সালভেশন আর্মি পাড়ার ওমর আলীর বাড়ির ভাড়াটিয়া ইজিবাইক চালক তরিকুল ইসলাম বাদী অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। ঘটনার পর স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। যশোরের বিভিন্ন এলাকায় মানববন্ধন শুরু হয়। একট্টা হয়ে বিচারের দাবি জানান সবাই। ঘটনার পরে পুলিশ আরেক অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামকে আটক করে। পরে আদালতে তিনি স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন। ওই তিনজন জড়িত থাকার বিষয় জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রহমানের আদালতে স্বীকার করেন। এছাড়া ঘটনার কয়েকদিনের মাথায় জড়িত মাদক ব্যবসায়ী শামীম ক্রসফায়ারে নিহত হয়। জবানবন্দিতে তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক শিহাবুর রহমান শেহাব। হত্যার সাথে জড়িত থাকলেও নিহত হওয়ায় শামীমকে এ মামলা থেকে অব্যহতির আবেদন করা হয়। পরে শক্তিগাজীও আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহন শেষে সোমবার রায় ঘোষনা করেন আদালত।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।