২৭ ডিসেম্বর সফলতার ১৭ বছরে পদার্পণ করতে যাচ্ছে বেশাখী টেলিভিশন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাঙালি সংস্কৃতি লালনের অঙ্গীকার নিয়ে ২০০৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু হয় টেলিভিশনটি। নতুন বছরে পা রাখার গৌরবময় সময়টাকে স্মরণীয় করে রাখতে ২৭ ডিসেম্বর বৈশাখীর পর্দা সাজানো হয়েছে গান, নাটক, সিনেমাসহ নানা অনুষ্ঠান দিয়ে।

দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে শুরু হবে ‘১৭ বছরে বৈশাখী’ শিরোনামে সরাসরি সংগীতানুষ্ঠান। চলবে রাত ১২টা পর্যন্ত। অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে থাকছে দেশের স্বনামখ্যাত রাজনীতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের গুণী ব্যক্তিত্বদের শুভেচ্ছা বক্তব্য।

প্রোগ্রাম ম্যানেজার লিটু সোলায়মানের প্রযোজনায় সরাসরি বৈশাখীর সংগীতানুষ্ঠান ‘১৭ বছরে বৈশাখী’ প্রচার হবে ৪টি সেগমেন্টে। প্রথম সেগমেন্ট শুরু হবে সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে। সংগীত পরিবেশন করবেন ইউসুফ আহমেদ খান ও অণিমা রায়, অনুপমা মুক্তি, নদী ও শবনম প্রিয়াংকা।

সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে শুরু হওয়া দ্বিতীয় সেগমেন্টে গান গাইবেন অলক সেন ও চম্পা বনিক। সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে গান গাইবেন কামরুজ্জামান রাব্বি ও মনিষা মেরী। ১২টা ১০ মিনিটে গাইবেন দিপা, অনন্যা আচার্য্য ও কাজী মৌমিতা।

তৃতীয় সেগমেন্ট শুরু হবে ১টায়। এ পর্বে অংশ নেবেন রাফাত ও সাদিয়া লিজা। রাত ৯টায় শুরু হবে চতুর্থ সেগমেন্ট। সরাসরি সংগীত পরিবেশন গামছা পলাশ, অংকন ইয়াসমিন ও জুঁই।

১৭ বছরে বৈশাখী সঙ্গীতানুষ্ঠানের উপস্থাপনায় থাকবেন আফরিন অথৈ, আইনুন পুতুল ও তাসনুভা মোহনা। সরাসরি সংগীতানুষ্ঠান ছাড়াও প্রচার হবে দুটি একক নাটক। সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে রয়েছে ‘বুলির বেলকনি’। শামস করিমের পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম, শার্লিন ফারজানা, শেলী আহসান প্রমুখ।

রাত ৮টায় প্রচার হবে বৈশাখী টিভির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলনের গল্পে, সুবাতা রাহিক জারিফার চিত্রনাট্যে এবং জিয়াউর রহমান জিয়ার পরিচালনায় বিশেষ নাটক ‘প্রতিদান’। এতে অভিনয় করেছেন রাশেদ সীমান্ত, অহনা, অলিউল হক রুমি, শিল্পী সরকার অপু, শফিক খান দিলু প্রমুখ।

দুটি বাংলা সিনেমার মধ্যে দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে প্রচার হবে ‘নয়ন ভরা জল’। মহম্মদ হাননানের পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন শাকিব খান, শাবনূর, শাহনূর, রাজীব সুচরিতা প্রমুখ। রাত ১২টায় প্রচার হবে ‘স্বামী স্ত্রীর যুদ্ধ’। শাবনূর, মান্না, পূর্ণিমা ও ডিপজল অভিনীত সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন এফ আই মানিক।

১৭ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে বৈশাখী টেলিভিশনের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলন বলেন, আমাদের জন্য এদিনটি বড়ই আনন্দের। ১৭টি বছর একটি চ্যানেলের জন্য কম কথা নয়। এই দীর্ঘপথ পরিক্রমায় যারা বৈশাখী টেলিভিশনের সঙ্গে ছিলেন এখনো যারা আছেন তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং দর্শকদের অফুরন্ত ভালোবাসার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। বৈশাখী টেলিভিশন যাত্রা শুরুর পর থেকেই দর্শকদের কথা চিন্তা করে নানাবিধ অনুষ্ঠান প্রচার করে আসছে। কারণ দর্শকদের ভালোবাসা ছাড়া এত দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়া সম্ভব ছিল না। ভবিষ্যতেও বৈশাখী টেলিভিশন সবশ্রেনীর দর্শকের কথা মাথায় রেখে আরো নতুন নতুন অনুষ্ঠান এবং বরাবরের মতো বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করবে।

বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে ব্যাপক আয়োজনের পরিকল্পনা ছিল আমাদের কিন্তু করোনা মহামারির কারণে এবারও বৈশাখী টিভি কার্যালয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজন থাকছে না তবে পর্দায় এ আয়োজনের কোনো কমতি নেই। ১৭ বছরে বৈশাখীর এ পর্দা আয়োজন দর্শকদের ভালো লাগবে বলে আমাদের বিশ্বাস। আমরা দ্রুত করোনামুক্ত সমাজে আবার মিলব উৎসবে- এ আত্মবিশ্বাস সদা জাগ্রত মনের গভীরে।

সবশেষে এমন আনন্দঘন মুহূর্তে বৈশাখী টেলিভিশনের সম্মানিত দর্শক, বিজ্ঞাপনদাতা, কেবল অপারেটরসহ সব শুভানুধ্যায়ীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।